সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে ফের অমানবিক আচরণে কাঠগড়ায় কলকাতার (Kolkata) নামী এক বেসরকারি হাসপাতাল। বিল টাকা সম্পূর্ণ দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে কোভিড (COVID-19) থেকে সুস্থ হওয়ার পরও রোগীকে ছাড়তে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপায়ান্তর না দেখে হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিবার। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্তও কোনও সুরাহা মেলেনি। এখনও হাসপাতালে কার্যত আটকে রয়েছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা গৃহবধূ। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে, গত মাসের শেষ সপ্তাহে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে দমদমের এক গৃহবধূ বাইপাসের ধারে নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাক্তাররা। এরপর সম্প্রতি তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। করোনা নেগেটিভও হন। কিন্তু হাসপাতালের তরফে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। আরও অভিযোগ, করোনা চিকিৎসা বাবদ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়। ধাপে ধাপে সেই টাকা মিটিয়ে দিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, বিলের সম্পূর্ণ টাকা না দিলে রোগীকে ছাড়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: জমা জলে মাছ ধরতে যাওয়াই কাল! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু পাটুলির যুবকের]
শুক্রবার রোগীকে বাড়ি আনার কথা থাকলেও তাঁকে ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক বাকবিতন্ডা চলে। তারপর উপায়ান্তর না দেখে আনন্দপুর থানায় (Anandapur PS) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও রোগী ছাড়া পাননি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরছেন না ধনকড়, রাজ্যপালের সফরসূচিতে বদল ঘিরে জল্পনা]
করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা আরও মসৃণ করতে বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন। বিল মেটানো না হলে চিকিৎসা বন্ধ করা কিংবা রোগীকে না ছাড়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, এই নির্দেশও রয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের। কিন্তু তারপরও কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থও হতে পারেন।