সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীঘাটে ম্যারাথন বৈঠকের পর পুরভোটের (Kolkata Municipal Election 2021) প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল (TMC)। প্রার্থীতালিকায় স্থান পেয়েছে একঝাঁক নতুন মুখ। তেমনই বাদ পড়েছেন অন্তত ৩৯ জন। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের বেশ খানিকটা আগে সাংবাদিক বৈঠক করেই অবশ্য সেকথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁদের সংগঠনের কাজে লাগানো হবে বলেও জানান তিনি।
বাদ গিয়েছেন ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের যথাক্রমে সীতা জয়সয়ারা এবং পুষ্পালী সিনহা। বাদ পড়েছেন পার্থ মিত্র। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশাসক ছিলেন। এছাড়াও বাদ গিয়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রণতি ভট্টাচার্য, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধন সাহা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্মিতা বক্সি, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সুনন্দা গুহ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্না দাসও। সত্যেন্দ্রনাথ দে’র নামও নেই প্রার্থীতালিকায়। তিনি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশাসক ছিলেন।
বাদের তালিকায় রয়েছেন ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্চিতা মণ্ডল, ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের কাইজার জামিল, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল আহমেদ, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের রতন মালাকার, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জুশ্রী মজুমদার এবং ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে রতন দে। ওই তালিকায় রয়েছেন ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের অর্চনা সেনগুপ্ত, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের সুস্মিতা দাম, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধুমিতা চক্রবর্তী, ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকা মণ্ডল, ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিপ্রা ঘটক, ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তপশিরা বেগম, ১৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আফতাবউদ্দিন আহমেদ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মমতাজ বেগম।
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত বামনেতার মেয়ে, তালিকায় একাধিক চমক]
রাজনৈতিক মহলের মতে, একঝাঁক নতুন মুখ তালিকায় থাকায় বাদ গিয়েছেন পুরনো সৈনিকরা। কারও বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ, আবার কারও বিরুদ্ধে গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেই অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলের প্রতীক দেখিয়ে ভোটে জয় পাওয়ার পরেও সংগঠনকে শক্তপোক্ত করে তোলার জন্য কোনও কাজ করেননি অনেকেই। যদিও এ বিষয়ে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
এদিকে, তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার রাতেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সায়নদেবের টুইট ঘিরে জল্পনা। তিনি টুইটে লেখেন, “আত্মত্যাগ করতে বলার সময় ওঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, আত্মত্যাগ করার পর ওঁরা বলল, এখনও সময় হয়নি।” সরাসরি তৃণমূলের সংগঠন সামলালেও টিকিট পাননি সায়নদেব। প্রশ্ন উঠছে, টিকিট না পাওয়ার ফলেই কি ‘অভিমানী’ সায়নদেব?