অর্ণব আইচ: ফের কলকাতার জনবহুল এলাকার ফুটপাথ থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে একজন। জোড়াসাঁকো থানা এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহম্মদ সরফরাজ নামে এক যুবককে। তবে মৃতদেহে রক্ত এল কোথা থেকে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট হবে খুনের কারণ।
রবিবার রাত দশটার পর জোড়াসাঁকো এলাকার দক্ষিণের ফুটপাথে অর্থাৎ এমজি রোডের দিকে এক ব্যক্তিকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হোটেল হিমালয় নামে এক বিল্ডিংয়ের সামনে এই দৃশ্য দেখে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশকে খবর দেন হোটেল হিমালয়ের এক ব্যক্তি রণবীর সিং। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি এখনও।
তদন্তে নেমে পুলিশ মহম্মদ সরফরাজ নামে বছর তিরিশের এক যুবককে সন্দেহভাজন বলে মনে করছে। এমএম বর্মন স্ট্রিটের বাসিন্দা সরফরাজ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তিকে কেউ গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করেছে। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। মৃত ব্যক্তি কে, কোথাকার বাসিন্দা, সন্দেহভাজন সরফরাজের সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক, সেসব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জোড়াসাঁকো এলাকারই একটি বাড়িতে খুন হন এলআইসি-র এক এজেন্ট। সেই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যেই।