shono
Advertisement
Jadavpur University

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে 'আজাদ কাশ্মীর' স্লোগান, 'রাষ্ট্রদ্রোহে'র মামলা রুজু পুলিশের

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রায় দশদিন ধরে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 01:48 PM Mar 11, 2025Updated: 02:28 PM Mar 11, 2025

রমেন দাস: নৈরাজ্যের যাদবপুরে দেশদ্রোহিতার বীজ! ছাত্র আন্দোলনের নামে উঠছে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান। বাকস্বাধীনতার নামে দেওয়ালে লেখা হচ্ছে 'কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি'। সূত্রের খবর, ছাত্র আন্দোলনের অছিলায় ভারতকে অশান্ত করতে মদত জোগাচ্ছে বহিঃশত্রুরা। এই প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। দেশ বিরোধী শক্তি যাতে কোনওভাবেই ক্যাম্পাসে মাথাচাড়া দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে ১ মার্চ থেকে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। বৈঠকে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই থেকেই উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি বিল্ডিংয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে দেওয়ালে লেখা 'আজাদ কাশ্মীর' স্লোগান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পদক্ষেপ করল রাজ্য পুলিশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এধরনের স্লোগানের নেপথ্যে বহিঃশত্রুদের বড়সড় ভূমিকা রয়েছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২/৬১ বি ধারা অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও নাশকতার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে এই ধরনের স্লোগানিংয়ের ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। এর আগেই আজাদ কাশ্মীর স্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রিপোর্টও তলব করা হয়েছিল।

এদিনের মামলা প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি কিশলয় রায় বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা একাজ করেছে তাঁরা মানসিকভাবে অসুস্থ। পুলিশের গোটা ভূমিকার প্রশংসা করছি।" এবিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই-এর লোকাল কমিটির সম্পাদক শৌর্যদীপ্ত রায় বলেন,"আমি মনে করি আজাদ কাশ্মীর বলা মানে সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। এটা বারবার বলা মানে অন্যান্য দাবিগুলো ছোট করা। কাশ্মীর নিয়ে যদি আমাদের দাবির কথা বলা হয়, বলব ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হোক। আর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রসঙ্গে বলব, এটা যারা করেছে আশা করা যায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই মিটিয়ে নেওয়া যেত। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করাটা সমাধান নয় বলেই মনে করি। পুলিশের মানুষকে বোঝানো উচিত কেন এই ধরনের কিছু লেখা উচিত নয়। এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকারের কথায়, "দেশবিরোধী কাজের মূল আখড়া হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই জন্যই ওরা পুলিশকে ঢুকতে দেয় না। এবিষয়ে বারবার রাজ্য ও কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ যদি এই ঘটনায় পদক্ষেপ করে তাহলে রাজ্যকে সাধুবাদ।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে 'আজাদ কাশ্মীর' স্লোগান।
  • তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বিচ্ছিন্নতাবাদ, নাশকতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে এই ধরনের স্লোগানের নেপথ্যে বড় চক্রান্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement