shono
Advertisement
Kolkata

কাউন্সেলিংয়েও হল না কাজ, মানসিক অবসাদে গলায় শাড়ির প্যাঁচে 'আত্মঘাতী' কলকাতার স্কুলছাত্র

ঠিক কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল স্কুলপড়ুয়া, তা এখনও জানা যায়নি।
Published By: Sayani SenPosted: 02:56 PM Jul 07, 2025Updated: 02:56 PM Jul 07, 2025

অর্ণব আইচ: দিব্যি প্রাণোচ্ছ্বল। স্কুল, পড়াশোনায় কোনও খামতি নেই। আচমকা বদলে গেল সব কিছু। মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিশোর। বাবা-মা অবাক হয়ে যান। কিশোরের চিকিৎসা শুরু হয়। তবে তাতে শেষরক্ষা হল না। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল সেই স্কুল পড়ুয়ারই দেহ। গলায় শাড়ির প্যাঁচে আত্মহত্যা করেছে বলেই দাবি পরিবারের।

Advertisement

নিহত বছর ষোলোর শৌর্য সরকার। বাবা কলকাতা পুলিশে কর্মরত। মা শিক্ষিকা। রাসবিহারীতে বাস তাঁদের। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের দশম শ্রেণির পড়ুয়া সে। পরিবার সূত্রে খবর, আচমকা গত কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল স্কুলছাত্র। পরিবারের লোকজন তা বোঝার পর থেকেই চিকিৎসা শুরু হয়। এনআরএস হাসপাতালে কাউন্সেলিং চলছিল শৌর্যর।

রবিবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমোতে যায় স্কুলপড়ুয়া। সোমবার ভোরে বাবা-মা দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সন্তানের দেহ। গলায় শাড়ির প্যাঁচ। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকেরা জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তার। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। ঠিক কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল স্কুলপড়ুয়া, তা এখনও জানা যায়নি। পড়াশোনার চাপ নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মানসিক অবসাদে গলায় শাড়ির প্যাঁচে 'আত্মঘাতী' কলকাতার স্কুলছাত্র।
  • নিহত পড়ুয়া রাসবিহারীর বাসিন্দা। দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ত।
  • অবসাদ কাটাতে কাউন্সেলিং চলছিল তার।
Advertisement