ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যপাধ্যায়: সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকারকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। বিস্ফোরক অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, কেন্দ্রের উচিত বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট কিছু সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে।
আসলে বৃহস্পতিবার বাংলার অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তাতে দাবি করা হয়, কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং অনীহায় বহু প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ নাগরিকরা পাচ্ছেন না। বেশ কিছু প্রকল্পের কাজও আটকে আছে। ওই একই দিন উত্তরপ্রদেশ সরকারও বৃহস্পতিবার রাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলিতে বিজ্ঞাপন দেয়। তাতে সাত বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার ফিরিস্তি দেওয়া হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। যার প্রতিবাদেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েহে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ডেডলাইন শেষের আগেই ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন]
চিঠিতে রাজ্যের শাসকদল দাবি করেছে, দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যখন কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তখন তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। সেটা না করে এই বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট সরকারের পক্ষপাতিত্ব করছে। একই সঙ্গে, বিরোধী সরকারগুলিকে নেতিবাচক দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও উল্লেখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজ্ঞাপনে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কাজের অগ্রগতি দেখানো হচ্ছে। এবং বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছিয়ে দেখানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: লোকসভার সঙ্গেই রাজ্যের দুই বিধানসভার উপনির্বাচন, ইঙ্গিত কমিশনের]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার যেখানে কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে উন্নয়নের গতি আটকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেখানে শুক্রবার আবার পালটা রাজ্যের তরফে সব সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে পালটা দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রই রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। তা সত্বেও জনসেবায় নিয়োজিত রাজ্য সরকার।