shono
Advertisement

কংগ্রেসে সুর নরম, আইএসএফে ‘খাপ্পা’, প্রার্থী ঘোষণার পরও জোট নিয়ে ধোঁয়াশায় বামেরা

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যা বললেন, তাতে ছবিটা পুরোপুরি স্পষ্ট হল না। যা বোঝা গেল তাতে কংগ্রেসের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এখনও দেখালেও আইএসএফের অতিরিক্ত চাহিদায় ক্ষুব্ধ বামেরা।
Posted: 07:31 PM Mar 14, 2024Updated: 07:52 PM Mar 14, 2024

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সম্ভাব্য জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা বিশেষ এগোয়নি। কংগ্রেস এখনও জোট প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসেনি। আইএসএফ আলোচনা শুরু করলেও তাঁদের আসনের দাবি ‘বেয়াড়া’। ফলাফল, জোট বা সম্ভাব্য আসন সমঝোতার বিষয়টি একচুলও এগোয়নি। এদিকে বিজেপি, তৃণমূল (TMC) আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। ফলে চাপ বাড়ছিল বামেদের উপর। অগত্যা রাজ্যের ১৬ আসনের জন্য প্রথম দফার তালিকা ঘোষণা করে দিলেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)।

Advertisement

বামেরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়ায় এখন অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্যে কোনও জোট হচ্ছে না? বাম, কংগ্রেস (Congress) এবং আইএসএফ (ISF) কি আলাদা আলাদা লড়াই করবে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যা বললেন, তাতে ছবিটা পুরোপুরি স্পষ্ট হল না। যা বোঝা গেল তাতে কংগ্রেসের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এখনও দেখালেও আইএসএফের অতিরিক্ত চাহিদায় ক্ষুব্ধ বামেরা।

[আরও পড়ুন: নাভালনির মৃত্যুর ছায়া রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে! জনগণকে কী বার্তা পুতিনের?]

আসলে বামেদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীনই এদিন আইএসএফ একপেশেভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাজ্যের আট আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সেই আট আসনের তালিকাও ঘোষণা করে দিয়েছে তাঁরা। সেই তালিকায় আবার আছে যাদবপুরে। নওশাদ সিদ্দিকির দলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ বিমান বসু এদিন বললেন, ISF-এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তবে কোনও কিছু নিষ্পত্তি না হতেই তাঁরা সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকী বলতে পারবেন, কে কোথায় তাদের তরফে প্রার্থী হচ্ছে, আমরা বলতে পারবো বা। পরক্ষণেই বিমানের উষ্মা, জোট কখনও ছিল না, আসন সমঝোতার সম্ভাবনা ছিল। বিমান জানিয়েছেন, আইএসএফ ডায়মন্ড হারবারের কথা বলেইনি। তারা যাদবপুর চেয়েছিল। যাদবপুর যে আইএসএফকে ছাড়া হবে না সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। স্রেফ ভাঙড়ের উপর ভর করে আইএসএফ কোন দাবিতে যাদবপুর কেন্দ্র চাইছে, সেটা নিয়ে রীতিমতো উষ্মাও প্রকাশ করেন তিনি। বিমান বলেন,”যাদবপুর কেন্দ্র মানে শুধু ভাঙড় নয়। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে।”

[আরও পড়ুন: সীমান্ত সংঘাতে কতটা প্রভাবিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, কী বলছে চিন?]

তবে কংগ্রেসের জন্য রাস্তা এখনও খোলা রেখেছে বামফ্রন্ট। তিনি জানান, এদিন মাত্র ১৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। আরও ২৬ আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই আসন থেকে কংগ্রেস পেতেই পারে। কিন্তু সেটার জন্য কংগ্রেসকে আগে নিজেদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এগিয়ে আসতে হবে। প্রস্তাব নিয়ে আসতে হবে। বিমান বসুর বক্তব্য, “আগামী পরশু আবার বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে আসন সমঝোতা নিয়ে। এই সময় যদি কেউ ব্যবহার করতে চাই তাহলে আমরা আমাদের সময় দেব। তাঁরা প্রস্তাব নিয়ে আসুন।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) জানিয়েছেন, কংগ্রেস আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী প্রস্তাব দেবে। তার পর যদি বামফ্রন্টের মনে হয়, কোনও কেন্দ্রে তাঁরা আমাদের সমর্থন করবে, সেটা তাঁরা করতে পারে। বা আমাদের যদি মনে হয়, কোনও কেন্দ্রে বাম প্রার্থী আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, তাহলে আমরা ওদের সমর্থন করব।” অর্থাৎ দুই শিবির থেকেই আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement