ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Blast) ন’টি শবদেহ এখনও টাটকা। ভয়াবহতায় এখনও শিউরে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণস্থল বাজি কারখানার আশেপাশে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক মিলেছে। বেশ কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থের হদিশ পেয়ে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসব রুখতে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কেন এই ঘটনা? সোমবার ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সভা থেকে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ”আতসবাজি নয়, আপনারা সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কম হবে, কিন্তু জীবনও বাঁচবে।”
মেয়ো রোডে টিএমসিপির সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”পুলিশরা কেউ বেআইনি কাজ করছে দেখছি আজকাল। তবে সবাই না। কেউ কেউ। বাকিরা আমার পরিবার। আমি অ্যান্টি করাপশন সেল করেছি। খেয়াল রাখছি। গাড়ি নিয়ে আইন ভাঙলে টাকা নেবেন। নাহলে কেন টাকা পকেটে নেবেন?” এরপরই তাঁর বক্তব্য, ”আমরা সবুজ বাজি করেছি। আপনাদের বলছি, ফায়ার ক্র্যাকার নয়, সবুজ বাজি করুন। টাকা কম হবে, তবে জীবন বাঁচবে। রাজ্যের ইটভাঁটা, বালি খাদানে কোনও আইন ছিল না। আমরা আইন করেছি।”
[আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন? ‘মোদি-চোকসি-মালিয়া নয়, আমার পদবী বন্দ্যোপাধ্যায়’, গুজবের জবাব অভিষেকের]
গত মে মাসে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ১১ জনের মৃত্যুর বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্লাস্টার (Cluster) তৈরির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি কারখানা গড়ে উঠছে কিনা, জনপ্রতিনিধিদের সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে দত্তপুকুরে এই বীভৎস কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এরপরও মুখ্যমন্ত্রী সবুজ বাজি তৈরির জন্য আরও একবার বার্তা দিলেন।