shono
Advertisement
Mamata Banerjee

'নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করুন', চাকরিহারাদের 'স্বেচ্ছাশ্রমে'র বার্তা মমতার

Published By: Sayani SenPosted: 09:22 AM Apr 07, 2025Updated: 03:05 PM Apr 07, 2025

সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। আদালতের রায়ের পর রাজ্যজুড়ে চাকরিহারাদের হাহাকার। তাঁদের বিকল্প দিশা দেখাতে আজ নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বার্তা দেন মমতা, সারা রাজ্য তাকিয়ে সেদিকে। ওই সমাবেশ সংক্রান্ত প্রতি মুহূর্তের খুঁটিনাটি তথ্যের জন্য নজর রাখুন লাইভ আপডেটে।

Advertisement

বেলা ১২.৫৩: শেষ হল চাকরিহারাদের সমাবেশ।
বেলা ১২.৪৯:
স্বেচ্ছাশ্রম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন চাকরিহারাদের। মমতা বলেন, "আদালত বলছে বেতন বন্ধ। আমরা দিলে প্রশ্ন করবে। তাই বলছি নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত স্কুলে যান। সুস্থ থাকবেন। কাজ চালিয়ে যান।"
বেলা ১২.৪৬:
মমতা আরও বলেন, "গায়ের জোরে ফোর্সফুলি তর্ক করে কিছু হয় না। দু'মাস কষ্ট করলে, ২০ বছর নিশ্চিন্তে থাকবেন।"
বেলা ১২.৪৪:
মমতা বলেন, "আগে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। আস্থা রাখুন। অযোগ্যদের নথিপত্র দেখব। সেটা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে আগে যোগ্যদেরটা দেখব। চিন্তা করবেন না। নিশ্চিন্তে থাকুন। যোগ্য-অযোগ্যদের গন্ডগোল লাগাবেন না। বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। আমি নিশ্চয় সকলের কথা শুনব। আগে আমাকে তদন্ত করতে দিন। আপনি ক্ল্যারিফিকেশন চাইব। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। কারও চাকরি যাক চাই না।" 
বেলা ১২.৪০:
মমতা বলেন, "আপনাদের কারও কাছে ভিক্ষা করে খেতে হবে না। পড়াশোনা করুন। বাচ্চাদের মানুষ করুন। ভলান্টিয়ারি সার্ভিস দিন। আমরা চাই আইন আপনাদের সুরাহা করুন। মমতাকে খাস্তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেবেন না। কারও উসকানি, প্ররোচনা শুনে প্ররোচিত হবেন না। মনে রাখবেন।"
বেলা ১২.৩৮:
নিট, ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরে বলেন, "শুধু বাংলাকে টার্গেট।"
বেলা ১২.৩৭:
মমতার বড় ঘোষণা, "স্কুলে যান কে বারণ করেছে? সার্ভিস ব্রেক হবে না। ২ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সব কিছু করব। কারা যোগ্য আর কারা যোগ্য নয়, আমাদের হাতে তালিকা তুলে দিন। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভাঙার অধিকার কারও নেই।" 
বেলা ১২.৩০:
মমতা আরও বলেন, "আমরা প্রথম থেকে ভালো আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়েছি। এখন মামলা লড়ার জন্য অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বল, প্রশান্ত ভূষণ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছি। ক্ল্যারিফিকেশন চাইব যাঁরা এতদিন কাজ করতেন, তাঁরা কী করবেন? নতুন পরীক্ষা নিতে বলেছেন, আগে জানতে চাই, যাঁরা শিক্ষক ছিলেন এতদিন, তাঁদের জন্য কী ব্যাখ্যা? স্কুল কে চালাবে? চাকরি দিতে না পারলে কেড়ে নেবেন না। যা করার শিক্ষাদপ্তর করবে। রায়ের ১৫ মিনিটের মুখ্যসচিব ও শিক্ষাদপ্তরকে বৈঠক করতে বলি। ধরুন ক্ল্যারিফিকেশনে বলে দিল চাকরি করতে পারবেন না। যতক্ষণ না নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। তাহলে আমরা কী করব? মাইনাসেরটা বলব না। ওটা মাথায় থাক। প্লাসেরটা বলি। যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি কেড়ে না নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবেন। যদি না দেয় তাহলে মনে রাখবেন 'যোগ্য'দের চাকরি নিশ্চিত করা দায়িত্ব আমার। যখন কেউ পথ হারায়, পথের মধ্যে পথ খুঁজে নিতে হয়। ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে পথ খুঁজে নিতে হয়। এ, বি বাতিল হলে সি রেডি, ডি রেডি, ই রেডি রাখতে হয়।" 

নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশ

বেলা ১২.২৬: মমতার চ্যালেঞ্জ, "যোগ্যদের চাকরি কাড়তে দেব না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। যাঁরা ভালো রেজাল্ট করে এসেছেন তাঁদের চোর বলছেন?"
বেলা ১২.২৩: মমতা আরও বলেন, "চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমি জেনেশুনে কাউকে শাস্তি দিইনি। কারও চাকরি খাইনি। আমি বলেছিলাম, বদলা নয়। বদল চাই। কেন মামলা করলেন? ভুল হতে পারে। ভুল সংশোধনের জন্য সময় দিন। ভুল করা অধিকার। ২০২৪ সালে নির্বাচনের সময় দুর্গাপুরে মিছিল করছিলাম। আমার কাছে খবর এল সুপ্রিম কোর্টে আমরা যখন আপিল করেছিলাম হাই কোর্টের রায়টাকে স্থগিতাদেশ দিতে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় করে দেন। আরেকজন প্রধান বিচারপতি এলেন যোগ্য, অযোগ্য না দেখে প্যানেল বাতিল করে দিলেন। বিকাশ ভট্টাচার্যকে আইসোলেট করা উচিত।" 
বেলা ১২.১৭: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমাদের সংকটের মধ্যে এসে দাঁড় করিয়েছেন। আপনাদের শোকে আমরা পাথর হয়ে গিয়েছি। একথা বলার জন্য আমাকে জেলে ভরাও হতে পারে। আই ডোন্ট কেয়ার। আমি লাল, নীল, হলুদ, সবুজ দেখি না। আমি কারও দায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না। আমি কেস স্টাডি করে দেখছিলাম। এখনও সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্য বলতে পারেনি। আসুন আমরা বঞ্চিত ও যোগ্য দু'ভাগে ভাগ করি। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। চাকরি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই। মুখ মুখোশ বুঝতে হবে। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে একাদশ-দ্বাদশ বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যাই। সিবিআইকে কেসটা দেওয়া হয়। আমরা বলেছিলাম বাছুন কে যোগ্য আর কে অযোগ্য। সহযোগিতা করেছিলাম। যোগ্য ব্যক্তির যাতে চাকরি না যায়, তা আমরা সবসময় চাই।"
বেলা ১২.১৪:
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে সুবোধ সরকার বলেন, "মানবিকতায় সকলের চোখের জল মুছিয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।"

বেলা ১২.১১: সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, "বিচারব্যবস্থার উপর আর আস্থা রাখা হচ্ছে না। দল দলেরই। মুখ্যমন্ত্রী সকলের। দিদির উপর আমার ১০০ শতাংশ আস্থা রয়েছে।"

বেলা ১২.০৪: রানি রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, "শিক্ষকরা সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে চাকরি পেয়েছেন। আজ তাঁরা দুর্ভাগ্যের শিকার।"

বেলা ১২.০১: মেহবুব আরও বলেন, "কোর্টরুমের মধ্যে যেটা আলোচনা হল না, তা নিয়ে রায়দান হল। বলা হল পরীক্ষা ব্যবস্থা খারাপ ছিল। তাই আমি প্যানেল বাতিল করলাম। আমি তাই রিভিউয়ের দাবি জানাই। কোনও গাফিলতি যেন না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাঁরা বিনা দোষে চাকরি হারিয়েছেন সকলকে তাঁদের পাশে থাকার সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছি।"

বেলা ১১.৫৭: মেহবুবের আরও দাবি, "সঞ্জীব খান্নার এজলাসে অনাস্থা। আমরা অন্য বিচারপতির এজলাসে আবার শুনানি চাই। আমরা পরীক্ষা পদ্ধতিতে দ্বিতীয়বার যেতে চাইছি না। পরবর্তী পিটিশনের আগে বিজ্ঞপ্তি জারি নয়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বৈধ ও অবৈধ দুটি ক্যাটেগরি তুলে ধরা হয়েছে। তার মানে মেনেছেন যাঁরা বৈধ তাঁদের তালিকায় আমরা। রিভিউ পিটিশনের সময় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। কারণ, আমাদেরও আইনজীবী আছেন। কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে করতে পারব। আমাদের চাকরি যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতাও বলছেন অবিচার হয়েছেন। হাহুতাশ করতে চাইছেন। তাঁরা ইচ্ছাকৃত নাকি সত্যি সহমর্মী, তা বুঝতে সর্বদলীয় বৈঠক চাইছি। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংঘাত আছে জানি। তা সত্ত্বেও আমরা তাঁদের মতামত নিতে চাইছি পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে কিনা।"
বেলা ১১.৫২:
মেহবুব আলম বলেন, "আমরা কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। তাও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের চাকরি গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম না। ৭ বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছি। যিনি সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি দিয়েছেন, তিনিও পরীক্ষা দিলে হয়তো পাশ করতে পারবেন না। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে চাই না। এটাই আবেদন করছি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।" 
বেলা ১১.৪৮:
চাকরিহারাদের প্রতিনিধি সঞ্চিতা কান্নাভেজা চোখে বলেন, ''দিনের পর দিন, রাতের পর রাত পরিশ্রম করে চাকরি পেয়েছি। বুড়ো বাবা-মা আমার। একটিমাত্র মেয়ে। তাঁদের দেখার খরচ আমার। আমার চাকরি নেই। জানি না স্কুলে আর পড়াতে পারব কিনা। এখানে আমার সহযোদ্ধারা উপস্থিত। তাঁরা আগামী মাসে কী খাবেন জানেন না। আমরা সুবিচার চেয়েছিলাম। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও পাইনি। ছাত্রদের কী হবে? শাস্তি কাদের দিল? যাঁদের দেওয়ার কথা তাঁরা পেল? আজ হাহাকার করছে সবাই।"

বেলা ১১.৪৭: শুরু হল চাকরিহারাদের সমাবেশ।
বেলা ১১.৪৫:
পাস কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ১।
বেলা ১১.২৩:
টাকার বিনিময়ে নেতাজি ইন্ডোরের পাস। অভিযোগ চিহ্নিত 'অযোগ্য' শিক্ষকদের। তাঁদের কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী সবার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমরা জানি। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাস বিক্রি করা হচ্ছে।" 

সন্তানকোলে অপেক্ষা চাকরিহারা মায়ের। ছবি: ব্রতীন কুণ্ডু

বেলা ১১.২০: নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ১১.০৬: দফায় দফায় বিক্ষোভ। গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা। পাস নিয়ে উত্তেজনা। 

নেতাজি ইন্ডোরের সামনে চাকরিহারাদের ভিড়। ছবি: ব্রতীন কুণ্ডু

 সকাল ১০.৩০: অসুস্থ কয়েকজন চাকরিহারা। "আমরা সম্মান ও চাকরি ফেরত চাই", বলছেন 'যোগ্য'রা।  

নেতাজি ইন্ডোরের সামনে চাকরিহারারা। নিজস্ব ছবি

সকাল ১০.০২: যোগ্য বনাম অযোগ্য লড়াইয়ে উত্তপ্ত শহর। বিক্ষোভের মুখে নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকতেই পারলেন না আবুল বাশার। শান্তি বজায় রাখতে মাইকিং পুলিশের। পৌঁছলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ ভার্মা।        

সকাল ৯.৪৫: যাঁদের পাস নেই তাঁদের বিক্ষোভ না দেখিয়ে অপেক্ষা করার বার্তা পুলিশের।

নেতাজি ইন্ডোরের সামনে কড়া নিরাপত্তা। নিজস্ব ছবি

সকাল ৯.৪৪: যাঁদের পাস আছে তাঁদের অন্য পথে ঢোকানো হচ্ছে নেতাজি ইন্ডোরে।
সকাল ৯.৪০: ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। 
সকাল ৯.৩৭:
'হয় চাকরি দিতে হবে, নইলে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করব', দাবি চাকরিহারাদের।

নেতাজি ইন্ডোরের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে চাকরিহারারা। নিজস্ব ছবি

সকাল ৯.৩৬: মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সকাল ৯.১৯:
বাবুঘাটে বিক্ষোভ চাকরিহারাদের একাংশের।
সকাল ৯.১৬:
চাকরিহারাদের মিছিলেও উঠল 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান।
সকাল ৯.১০:
বাড়ানো হল নেতাজি ইন্ডোরের নিরাপত্তা।
সকাল ৯.০৬: নেতাজি ইন্ডোরের সামনে বিক্ষোভ চাকরিহারাদের একাংশের। তাঁদের দাবি, 'সকলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার অধিকার আছে'।
সকাল ৯: বৈঠকের আগে 'আমরা যোগ্য' পাস বণ্টন নিয়ে উত্তেজনা।
সকাল ৮.৫০: ওএমআর শিট হাতে শহিদ মিনার থেকে নেতাজি ইন্ডোরের দিকে রওনা চাকরিহারারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement