সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে জনতার সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন ‘দিদির দূত’রা। আর সেখানে গিয়ে বিধায়ক, সাংসদ থেকে জনপ্রতিনিধি সবাইকেই পড়তে হচ্ছে বিক্ষোভের মুখে। কোথাও তাঁদের গাড়ি আটকে, কোথাও বা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁরা যাবতীয় নালিশ জানাচ্ছেন। যদিও ‘দিদির দূত’দের (Didir Doot) সকলের দাবি, বিক্ষোভ নয়, মানুষজন নালিশ করছেন। চাইছেন সমাধান। আর তাঁদের কথা শুনতেই জনপ্রতিনিধিরা ঘুরছেন বিভিন্ন এলাকায়। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”এসব ঘটনাকে বিক্ষোভ বলবেন না। মানুষ কথা বলছেন। তাঁরা কথা বলুন, এটাই আমরা চাই।”
গত ২ জানুয়ারি তৃণমূলের মেগা বৈঠকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামে কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল আরও নিবিড় জনসংযোগ। তারই একটি অংশ ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরা। ১১ তারিখ থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায় একেকটি দল কাজ করছে। তারকা বিধায়ক, সাংসদ থেকে নেতা, মন্ত্রী – সকলকেই যেতে হবে জনতার দুয়ারে, এমনই কড়া নির্দেশ ছিল তৃণমূল (TMC) নেত্রীর।
[আরও পড়ুন: ইস্যু আন্দামানে দ্বীপের নামকরণ: ‘নেতাজিই নাম দিয়েছিলেন’, মোদিকে মনে করালেন মমতা]
সেইমতো শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা ঘুরছেন নিজেদের এলাকায়। বীরভূমে (Birbhum) শতাব্দী রায় যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই কার্যত তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কোথাও রাস্তা তৈরি না হওয়ার অভিযোগ, কোথাও পানীয় জলের সমস্যার কথা শোনানো হচ্ছে। যদিও তাঁরা জনতার এসব বক্তব্যকে বিক্ষোভ বলতে নারাজ তাঁরা। শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের দাবি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ এসব। যেখানে যা কাজ হয়নি, তা মন খুলে বলছেন তাঁরা। আর তা শোনার কাজই করতে ‘দিদির দূত’দের আসা।
[আরও পড়ুন: ‘কলকাতা অচল করে দেব’, নওশাদের গ্রেপ্তারি নিয়ে ফুঁসে উঠলেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী]
এবার তাঁদেরই পাশে দাঁড়িয়ে সহমত পোষণ করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি জন্মদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ”মানুষ নিজেদের কথা নিজেরাই বলছেন। আমরা চাই, তাঁরা কথা বলুন। সমস্যার কথা আমাদের জানা দরকার। তবেই তা কাজ করা যাবে আরও বেশি।” অর্থাৎ দিদির দূতদের যেমন কাজে অনুপ্রাণিত করলেন, তেমনই বার্তাও স্পষ্ট, বিক্ষোভ যতই হোক, কর্মসূচি পালন করতেই হবে।