সুদীপ রায়চৌধুরী: প্রতিবেশী দেশে লাগামছাড়া হিন্দু নিধন। গত কয়েকদিনে সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। ইউনুসের বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে আতঙ্কের আরেক নাম। সেই পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে হিন্দু ঐক্যে জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। হিন্দুত্বের শক্তি আরও বাড়াতে হবে বলে মত তাঁর। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শতবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার কলকাতায় অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে এসে তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন ভাগবত। তাঁর মতে, ভারত সরকারের কোনও পদক্ষেপ করা উচিত। তবে তা একান্তই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশের মৌলবাদীদের তাণ্ডব চিত্র ভয় ধরিয়েছে। আতঙ্কিত এপার বাংলার মানুষজনও। পদ্মাপাড়ের সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি নির্যাতন নিয়ে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। স্পষ্ট বলা হয়েছে, সেখানকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিক দায়িত্বশীল অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতের কথা তুলে ধরেই আরএসএস প্রধানের বক্তব্য, হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে যে কত বড় বিপদ আসতে পারে, তার আদর্শ নিদর্শন বাংলাদেশের ঘটনাবলী। তাঁর কথায়, ''হিন্দুদের শক্তি বাড়ছে। আগেও হিন্দু ছিল, কিন্তু তাদের শক্তি ছিল না। এখন সেটা আস্তে আস্তে বাড়ছে। ভারতকে বড় হতে হবে। আর ভারত বড় হলে হিন্দুও বাড়বে। তাই দুনিয়ার যারা দুষ্টু লোক, তার ভয় পাচ্ছে। তাই তো নিরন্তর ভারতের অনিষ্ট করতে চাইছে।''
এদিনের অনুষ্ঠানে ভাগবতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওপার বাংলার পরিস্থিতিতে ভারতের কী করণীয়? তাতে ভাগবত জানান, ''আপনারা যা ভাবছেন, আমিও তাই ভাবছি। আমার মনে হয়, ভারত সরকারের কোনও পদক্ষেপ করা উচিত। তবে প্রশাসনিকভাবে কী করা যায়, সেটা কেন্দ্রই ঠিক করবে। একটা সময় তো ওরা ভারতেরই অংশ ছিল। এখন সেখানে নানা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সরকার দেখবে সরকারের কী করণীয়।'' রবিবার দীর্ঘ বক্তব্যে সংঘের ইতিহাস, কাজ, বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছুই তুলে ধরেন মোহন ভাগবত। অভিযোগের সুরে বলেন, ''সংঘের কাজ নিয়ে নানা কথা রটছে, সেসব ঠিক নয়। অনেকেই জানেন না ঠিক কী কী কাজ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।''
