সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যুৎচালিত ভেসেল পরিষেবা শুরু হল গঙ্গায়। দেশের মধ্যে গঙ্গাবক্ষে এমন পরিষেবা এই প্রথম। বৃহস্পতিবার সেই ভেসেলটির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ভেসেলটি চলাচল করবে মিলেনিয়াম পার্কের জেটি ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে। ভায়া বেলুর মঠ। নতুন ভেসেলটিতে সব মিলিয়ে যাত্রা করতে পারবেন ৯০ জন। তাঁদের মধ্যে শীতাতপ শ্রেণিতে থাকতে পারবেন ৩০ জন। বাকিরা থাকবেন সাধারণ শ্রেণিতে। এদিন ভেসেল উদ্বোধনের পরে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ''যাত্রীরা অনেক বেশি সুরক্ষিত হবেন, পাশাপাশি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন এই ভেসেলে। তাছাড়া পরিবেশ দূষণ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেবে এই জলযান।''
তাহলে কি এই ধরনের ভেসেল আরও চালানো হবে ভবিষ্যতে? সেরকমটাই জানা গিয়েছে। আগামিদিনে ১২টি ই-ভেসেল এবং ১২টি ই-বার্জ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।
এদিকে এদিনই আউট্রাম ঘাটে গঙ্গাসাগর মেলারও আনুষ্ঠানিক সূচনা হল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। আর সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ''আগে বলা হত, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কিন্তু এখন লোকে বলে সব তীর্থ এক বার, গঙ্গাসাগর বারবার। কেননা যাতায়াতে আর কোনও সমস্যা নেই।'' যে বিপুল ভিড় হবে, তার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মারাও।
গত সোমবার গঙ্গাসাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপিল মুনির আশ্রমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। দেখা করেন আশ্রমের প্রধানের সঙ্গে। অন্যান্য আশ্রমিকের সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। পরে কপিল মুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলা কুম্ভ মেলা থেকে কোনও অংশে কম নয়।" মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "'কুম্ভমেলায় কেন্দ্র হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কেন্দ্র কোনও টাকা দেয় না। গঙ্গাসাগরের দিকে তাকিয়েও দেখে না কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেও সেতু তৈরি হয়নি। মুড়িগঙ্গার ওপর সেতু তৈরি করছে রাজ্য সরকার। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে, দেড় হাজার কোটি টাকা লাগবে। ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হয়ে যাবে।"