সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হল চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। দ্বিতীয়বারের জন্য সাসপেন্ডেড 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম। দলের তরফে শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেই দুজনের বিরুদ্ধে এত কড়া পদক্ষেপ করা হল।
শুক্রবার বিকেলে আচমকাই দলের দুই পুরনো নেতার সাসপেনশনের খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম এবং চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে সাসপেনশনের পথে হেঁটেছে শাসকদল। এর আগেও আরাবুলকে দল সাসপেন্ড করেছিল ৬ বছরের জন্য। পরে তা প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে আরাবুল জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল। তা মাঝেমাঝে প্রকাশ্যেও আসে। এই বিষয়টিকে দল মোটেও ভালো চোখে দেখেনি। আগেও বারবার দলনেত্রী সতর্ক করেছিলেন, দলে কোনওরকম দ্বন্দ্ব একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না। সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তা সত্ত্বেও আরাবুল-শওকত দ্বন্দ্ব এড়ায়নি। এরপরই আরাবুলকে সাসপেনশনের পথে হাঁটল শাসকদল। এনিয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, "এটা দলের সিদ্ধান্ত। আমার কিছু বলার নেই।"
অন্যদিকে, দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেনকে নিয়েও দলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছিল। আর জি কর কাণ্ডের সময়ে তাঁর ভূমিকাকে ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। এতদিন যে হাসপাতালের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন, সেই আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দলের মুখপাত্র হিসেবেও বাদ পড়েন শান্তনু সেন। আর এবার শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল দল। দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পরই কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনু সেন। অভিযোগ, দলকে ভুল বোঝানো হয়েছে তাঁকে নিয়ে। আর জি কর কাণ্ডের পর সন্দীপ-বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই কি কোপে পড়তে হল? প্রশ্ন তাঁরও।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর দলের বৈঠক ডেকে তৃণমূল নেত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। কারও বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠলে শোকজ করা হবে। তিনবার শোকজ চিঠির ঠিকঠাক উত্তর না পেলে ওই ব্যক্তিকে বহিষ্কারের পথে হাঁটবে দল। সে তিনি দলের যত বড় ব্যক্তিত্বই হোন না কেন, একইরকম শাস্তি পেতে হবে।