সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গঙ্গাসাগর দেশের সবচেয়ে বড় মেলা’, সপ্তাহখানেক আগে নবান্নে বসে নিজেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মহাযজ্ঞে যাতে পুণ্যার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুণ্যার্থীদের জন্য সব ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে প্রতি বছরই সাগরে যান মমতা। ব্যতিক্রম হবে না এ বছরও।
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলা। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা শুরুর পাঁচ দিন আগে ৩ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিতে পারেন মমতা। মেলা শুরু হতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি, তাই সাগরে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা সাগর পর্যবেক্ষণে যাবেন।
[আরও পড়ুন: SSKM-এ মুখ্যমন্ত্রীর অস্ত্রোপচার নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ শুভেন্দুর, কড়া জবাব দিল তৃণমূল]
গত বুধবারই মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নবান্নে (Nabanna) বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৫ মন্ত্রী। ১৮ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর ভারতের সবচেয়ে বড় মেলা। অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে।
[আরও পড়ুন: দেগঙ্গা বইমেলায় দুর্ঘটনা, অনুপমের অনুষ্ঠান দেখতে ভাঙল ব্যারিকেড, আহত বহু]
প্রশাসন সূত্রের খবর, মেলায় যোগাযোগ থেকে নিরাপত্তা সব বন্দোবস্ত করা হবে। প্রতিদিন ১৫-১৬টি অতিরিক্ত বাস চলবে। সবমিলিয়ে ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস যাতায়াত করবে। চলবে অতিরিক্ত ৬৬টি ট্রেন। থাকছে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থাও। ২২টি জেটিকে মজবুত করা হচ্ছে। শুধু যাতায়াতের ব্যবস্থা নয়, মেলার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকছে। ১ হাজার ১৫০টি সিসিটিভি থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে। থাকছে জিপিএস ও স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা। শুধু যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারি নয়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলায় থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। ২ হাজার ৪০০ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। প্রচুর সিভিক ভলান্টিয়ারও।