স্টাফ রিপোর্টার: নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর (ব্লু) লাইনে টানেল ভেন্টিলেশন ও স্টেশন কুলিং ব্যবস্থা পুরোটাই বদলে ফেলা হচ্ছে! ফলে গরমকালে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ঘামতে হবে না যাত্রীদের। ঠান্ডা থাকবে সুড়ঙ্গও। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, সাতটি নতুন ট্র্যাকশন সাব-স্টেশন তৈরি করা হবে। কালীঘাট, নেতাজি ভবন, ময়দান, এসপ্ল্যানেড, এম.জি. রোড, শোভাবাজার সুতানুটি এবং বেলগাছিয়া-শ্যামবাজারের মাঝে এই সাব-স্টেশনগুলো গড়ে উঠবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ট্র্যাকশন পাওয়ারের চাহিদা ও অগ্নি নিরাপত্তা মাথায় রেখে চাঁদনি চক ও গীতাঞ্জলি স্টেশনে আরও দুইটি ট্র্যাকশন সাব স্টেশন তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
আগে নন-এসি রেক চলার সময় টানেলও ঠান্ডা করা হত। কিন্তু বহু স্টেশন আছে, যেখানে দাঁড়িয়ে গরমে যাত্রীদের কার্যত ঘামতে হত। এবার সেই সমস্যা মিটবে বলেই জানাচ্ছেন মেট্রো কর্তারা। এখন সব রেকই এসি হওয়ায় আধুনিক টানেল ভেন্টিলেশন সিস্টেম ও অত্যাধুনিক স্মোক এক্সট্র্যাকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ব্যবহৃত ১১০ কিলোওয়াট ক্ষমতার সেন্ট্রিফিউগাল ফ্যান ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এরপর এই পুরনো ফ্যানগুলোর বদলে বসানো হবে দিকনির্দেশিত অ্যাক্সিয়াল ফ্যান, যা ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম বাতাস সামলাতে পারে। পাশাপাশি টানেলের ভিতরে আগুন বা ধোঁয়া দেখা দিলে, তাপমাত্রা বা কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বাড়লে এই ফ্যানগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে।
স্টেশনগুলো ও সুড়ঙ্গের আধুনিক ব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে একটি জাপানি কোম্পানির ভারতীয় সহযোগী সংস্থা। সিঙ্গাপুর মেট্রোর শতাধিক ভূগর্ভস্থ স্টেশনে যারা সফলভাবে এই সিস্টেম চালু করেছে। ইতিমধ্যেই জাপানি ইঞ্জিনিয়াররা যতীন দাস পার্ক স্টেশনের এয়ার-কন্ডিশনিং প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প শেষ হলে যাত্রীরা আরও আরামদায়ক যাত্রা করতে পারবেন বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
