সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে তৎপর নবান্ন। কীভাবে ফাঁস হল প্রশ্নপত্র, কারা এর সঙ্গে জড়িত, জানতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন। দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ডিএলএডের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর সোয়া একঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরীক্ষার শেষের পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তখন এই কাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতেই তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: সরকারের তরফে আনা শীতবস্ত্র কোথায়? জেলাশাসককে ধমকে হিঙ্গলগঞ্জের সভা থামালেন মুখ্যমন্ত্রী]
প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে ডিএলএড কোর্সে। দু’বছরের কোর্সে চারটি সেমেস্টার হয়। সোমবার এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অন্য সেন্টারে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল কড়া নিরাপত্তাও। তবু এদিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পোস্ট করা হয়। এনিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাহলে কি শত চেষ্টা করেও প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো গেল না?
পরীক্ষা শেষের পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর আক্ষেপ, “দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্ন তৈরি করছে গোপনীয়তা তাদেরও দায়িত্ব। এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়ক, পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা।” তাহলে কি সত্যি পর্ষদকে বিপাকে ফেলতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে? এত কড়া নিরাপত্তার পরও কীভাবে ফাঁস হল প্রশ্ন? সেই তথ্যই এবার জানতে চায় রাজ্য সরকার। তাই বিন্দুমাত্র দেরি না করে তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডির হাতে।
[আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুরে বিস্ফোরণের তদন্ত করবে এনআইএ? সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের উপর ছাড়ল হাই কোর্ট]
প্রসঙ্গত, পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ডিএলএড কলেজগুলি থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ডিএলএড কলেজে বেনিয়মের হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থারা। এবার ফের সেই ডিএলএড পরীক্ষাপ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তড়িঘড়ি সেই অভিযোগের সমাধান করতে তৎপর হল রাজ্য সরকার।