স্টাফ রিপোর্টার: আগামী সোম ও মঙ্গলবার অর্থাৎ ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার সমস্ত ছুটি বাতিল করল। যাঁরা এই দু’দিন বা কোনও একদিন কাজে আসবেন না, তাঁদের চাকরিজীবন থেকে একটি দিন বাদ যাবে (ডায়াস নন)। শনিবার এই মর্মে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কয়েকটি কর্মী সংগঠন ওই দু’দিন পেন-ডাউন ও ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)।
অর্থসচিব মনোজ পন্থের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই দু’দিন কর্মীরা কোনও সিএল (Casual Leave) নিতে পারবেন না। একমাত্র ছাড় হাসপাতালে ভরতি হলে কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য মারা গেলে। কর্মবিরতিতে অংশ নিলে শোকজের মুখে পড়তে হবে কর্মীদের। তবে ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে অনুমোদিত ছুটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে।
[আরও পড়ুন: ঋতু বদলে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট, সুস্থ থাকার গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্যভবন]
বকেয়া ডিএ’র (DA) দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মীরা সরব। সদ্য হয়ে যাওয়া রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর পরও সরকারি কর্মীদের আন্দোলনে ইতি পড়েনি। কারণ, নয়া হারে ডিএ ঘোষণার পরও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ’র ফারাক অনেকটাই বেশি। প্রাপ্য না মিটলে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। তাদের তরফে আগামী সোম ও মঙ্গল অর্থাৎ ২৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ কর্মবিরতি বা পেন-ডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডার্বির আগে স্বস্তি, কেরালাকে হারিয়ে আইএসএলের প্লে-অফে মোহনবাগান]
আর তা রুখতেই কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। বন্ধ মোকাবিলায় সাধারণত এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে রাজ্য প্রশাসন। এবার সরকারি কর্মীদেরই কর্মসূচির বিরোধিতায় ওই ২ দিন ছুটি নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নবান্ন। বলা হয়েছে, ওই ২ দিন বা দু’দিনের মধ্যে একদিনও ছুটি নেওয়া যাবে না। ছুটি নিলে সার্ভিস বুক থেকে তা বাদ যাবে, যা সরকারি কর্মীদের কর্মজীবনের রেকর্ডে কালো দাগ বলে মনে করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সরকারি কর্মী সংগঠন কনফেডারেশনের প্রতিক্রিয়া, কর্মবিরতি রুখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।