shono
Advertisement
Amader Para, Amader Samadhan

'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' শিবিরে মিলবে কোন পরিষেবা? জানাল নবান্ন

নবান্নের তরফে গোটা কর্মসূচির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রকাশ করা হয়েছে।
Published By: Sayani SenPosted: 01:48 PM Jul 27, 2025Updated: 01:48 PM Jul 27, 2025

নব্যেন্দু হাজরা: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো ২ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে 'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। নবান্নের তরফে গোটা কর্মসূচির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ২ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। পুজোর দিন এবং সরকারি ছুটির দিনগুলো বাদ দিয়ে জেলার প্রতিটি ব্লকে, গ্রামে বা শহরাঞ্চলে শিবির করে স্থানীয় সমস্যার খতিয়ান তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঠিক কী কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না।

Advertisement

প্রশাসনের ব্যাখ্যা, কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কম খরচে দ্রুত ফলদায়ক কাজ করা। যাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হন। গোটা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য রাজ্য থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন কমিটি এবং টাস্ক ফোর্স গঠন করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে সব দপ্তরের সচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্টেট লেভেল অ্যাপেক্স কমিটি। ১৩ জন আইএএস ও বিসিএস আধিকারিক নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্স। এবং জেলার জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা সেন্টার হবে। সমস্যা শোনার পর সেই কাজ করা হবে। সব কাজ হবে অনলাইন মাধ্যমে, স্বচ্ছতা মেনে। মানুষ নিজের সমস্যা নিজে জানাতে পারবেন। যেহেতু রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে তাই ২৭ হাজার ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সভা থেকে তুলে আনা সমস্যা সমাধানের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসওপি অনুযায়ী, মূলত ১৫ ধরনের কাজ করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। তার মধ্যে রয়েছে - নিকাশি নালা নির্মাণ বা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, জলের ট্যাঙ্ক বসানো, রাস্তায় আলো বসানো, কমিউনিটি টয়লেট তৈরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামত, খেলার মাঠ নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রং করা, শৌচাগার মেরামত, পুকুর সংস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা, কমিউনিটি শেড তৈরি, বাজার বা বাসস্টপে আলো ও ছাউনি বসানো। এই তালিকায় রয়েছে এমন সব কাজ যা স্থানীয় মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং তুলনায় কম সময়ে কম খরচে সম্পন্ন করা যায়।

এসওপিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বড় ধরনের নির্মাণকাজ, যেমন - নতুন স্কুল, আইসিডিএস কেন্দ্র বা সরকারি দপ্তরের ভবন তৈরি করা যাবে না। জমি কেনা বা ভাড়া নেওয়াও নিষিদ্ধ। প্রকল্পে ব্যবহারযোগ্য জমি অবশ্যই সরকারি হতে হবে অথবা এমন জমি, যেটি নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা নেই। প্রকল্পটি জনসমষ্টির উপকারে আসার জন্য, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়। কলকাতা পুরসভার সার্কুলারে বলা হয়েছে, বুথভিত্তিক কমিটি গঠন হবে। কমিটির প্রধান হবেন এমন এক ব্যক্তি যিনি এলাকায় পরিচিত। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথভিত্তিক কমিটির নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকবে। সেই গ্রুপের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন পুর কমিশনার নির্দেশিত নোডাল অফিসার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো ২ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে 'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' কর্মসূচি।
  • নবান্নের তরফে গোটা কর্মসূচির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রকাশ করা হয়েছে।
  • পুজো এবং সরকারি ছুটির দিনগুলো বাদ দিয়ে জেলার প্রতিটি ব্লকে, গ্রামে বা শহরাঞ্চলে শিবির করে স্থানীয় সমস্যার খতিয়ান তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement