shono
Advertisement

Breaking News

‘বাংলার মানুষ আর আপনার বিবৃতি শুনতে চায় না’, এবার রাজ্যপালকে নিশানা বিজেপির

মঙ্গলবার ফের টুইট করে হাঁসখালি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।
Posted: 04:09 PM Apr 12, 2022Updated: 05:50 PM Apr 12, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! রাজ্যে পান থেকে চুন খসলেই যে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করতে ছুটে যায় বিজেপি, যে রাজ্যপাল বিজেপির অভিযোগ পেলেই সক্রিয়ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করে দেন, হাঁসখালি কাণ্ডে এবার সেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেই নিশানা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যপালকে সাফ বলে দিলেন, “রাজ্যের মানুষ আর আপনার বিবৃতি শুনতে চাইছে না। হয় কিছু করুন, নাহয় চুপ থাকুন।”

Advertisement

ঝালদা থেকে বগটুই, সব ইস্যুতেই কমবেশি টুইট করে প্রতিবাদ করেন রাজ্যপাল। সোমবার বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে হাঁসখালি নিয়ে নালিশ করে এসেছেন। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পরই এই ইস্যুতে টুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল। জরুরি ভিত্তিতে হাঁসখালি এবং রামনবমীতে হিংসা নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্টও তলব করেন তিনি। কিন্তু বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। শুধু বিবৃতি দিয়ে আর কাজ হবে না।”

[আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থ রাজ্য সরকারের প্রকল্প’, গ্রামে গ্রামে প্রচার করবে AAP]

মঙ্গলবার রাজ্যপাল প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু টুইট করে আর কাজ হবে না। কিছু করুন। এবার পদক্ষেপ করার সময় এসে গিয়েছে। রাজ্যপাল বারবার বলছেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, রাজ্য সরকার সঠিকভাবে রাজ্য চালাতে পারছে না। এসব শুনে শুনে মানুষ ক্লান্ত। বাংলার মানুষ আর রাজ্যপালের বিবৃতি শুনতে চায় না। টুইট দেখতে চায় না। এবার পদক্ষেপ করুন।” শমীকের সাফ কথা,”রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকর্তা। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করাটা তাঁর কর্তব্য। তাই, হয় তিনি পদক্ষেপ করুন, নাহয় চুপ করুন।”

[আরও পড়ুন: গানের গুঁতোয় যন্ত্রণার যাত্রা! অটোয় তারস্বরে বাজছে লাউড স্পিকার, ধৃত ১৩০০ চালক]

যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ‘চুপ’ করার মানুষ নন। মঙ্গলবারও হাঁসখালি ইস্যুতে নতুন করে টুইট করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, “সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরাই যখন বিচারকের ভূমিকায়, তখন হাঁসখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এটা নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী, কারণ পুলিশ এই বক্তব্যই অনুসরণ করবে।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement