সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কাল। তার জন্যেই এতদিনকার প্রথা ভেঙে একেবারে অন্যরকমভাবে এবছরের ২১ জুলাই উদযাপন করতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এর জন্য মানসিকভাবে ব্যথিত। মঙ্গলবার, শহিদ দিবসে কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুরুতেই এ নিয়ে মনখারাপের কথা প্রকাশ করলেন। তবে শপথ নিলেন করোনা ভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে বাংলা জিতবে।
মারণ রোগের বলি হয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। শুধু বিধায়কই নন, তমোনাশবাবু ছিলেন তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের এক সৈনিক। কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন এতগুলো বছর ধরে। তাই করোনার (Coronavirus) সঙ্গে লড়াইয়ে তাঁর এভাবে হেরে যাওয়া কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছিলেন না দলের সুপ্রিমো। একুশের বক্তব্যে সেই বেদনা প্রকাশ পেল তাঁর গলায়। তমোনাশ ঘোষকে ‘করোনা যোদ্ধা’ বললেন তিনি। COVID’এর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি আইসিইউতে]
বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission) শুরু হয়েছে, সোমবারই নবান্নের তরফে একথা স্বীকার করে নিয়ে সপ্তাহে দু দিন করে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিনের বক্তব্যে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বললেন, ”ভয়ের কিছু নেই।” কেন বাংলার এই পরিস্থিতি, তাও ব্যখ্যা করলেন তিনি। বললেন, ”বাংলা অনেকগুলো সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। নানা জায়গা থেকে নানা লোক আসে, রোগও আসে। টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট – এসবের মাধ্যমে রোগ মোকাবিলা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, আরও বাড়ানো হবে। তবে ভাল কথা এই যে, রোগীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। মাত্র ৫ শতাংশ রোগীর অবস্থা কিছুটা আশঙ্কার। তাঁদের ঠিকমতো ট্রেস করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, হয়ত তা চূড়ান্তভাবে তৈরিও হয়ে যাবে, সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ভয়ের কারণ নেই।”
[আরও পড়ুন: জনতার আশীর্বাদে আগামী বছর আরও বড় করে ২১ জুলাই পালন, টুইটে আশা মমতার]
The post ‘ভয়ের কিছু নেই, মাত্র ৫% রোগী আশঙ্কাজনক’, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দাবি মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.