সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) করাতে রাজি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের তরফে জেলাপ্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গোটা রাজ্যে আসবে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী। একযোগে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে বাম-বিজেপি (BJP)।
রাজ্যে সব মিলিয়ে ৬০ হাজারের বেশি বুথ। উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যাও কম নয়। অথচ কমিশন চাইছে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্থাৎ ২ হাজার থেকে ২২০০ জওয়ান। কমিশনের ইঙ্গিত প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের বিশেষ বাহিনী ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে। কমিশনের এই কৌশলী সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, একই সুর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহারও।
[আরও পড়ুন: প্রতীক বিলি নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষ, বিডিও অফিসে ধরনায় অধীর চৌধুরী]
বিকাশ ভট্টাচার্য বলছেন, “সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খাওয়ার পর নতুন কৌশল বার করেছে কমিশন। এত কম সংখ্যক বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সম্ভব নয়। ঘুরপথে সেই ভোটের রাশ চলে যাবে দুষ্কৃতীদের হাতেই।” বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নতুন করে মনোনয়ন করানো উচিত। রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) বক্তব্য, “কমিশন এমন একটা ব্যবস্থা করতে চাইছে যাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানা হয়, আবার ভোটের নিয়ন্ত্রণও রাজ্যের হাতে থাকে। এটা আসলে সুপ্রিম কোর্টের অপমান। এর বিরুদ্ধে আমরা ফের কোর্টে যাব।”
[আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: চুলোয় বাম-কংগ্রেস জোট! এক আসনে দুই দলের প্রার্থী বাবা-ছেলে]
তৃণমূল অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা-না আসা নিয়ে ভাবিত নয়। শাসক দলের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দল এটাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানিয়েছেন,‘‘পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল কি, এল না তাতে কিছু আসে যায় না তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী, যে বাহিনীই আসুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। আসলে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসার বিষয়টি দলগতভাবে আমাদের কাছে গুরুত্বহীন।”