shono
Advertisement
IIM Joka

সোশাল মিডিয়ায় আলাপ, হস্টেলে ডেকে পিৎজা-মাদক মেশানো জল খাইয়ে 'ধর্ষণ', IIM জোকা কাণ্ডে নয়া তথ্য

ধৃত যুবক ভিনরাজ্যের বাসিন্দা।
Published By: Sayani SenPosted: 10:54 AM Jul 12, 2025Updated: 03:37 PM Jul 12, 2025

অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। কাউন্সেলিংয়ের জন্য তরুণীকে হস্টেলে আসতে বলে দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া। সেই অনুযায়ী কলেজের হস্টেলে যান তরুণী। এরপর হস্টেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আইআইএম জোকায় (IIM Joka) ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেল পুলিশ।

Advertisement

তরুণীর দাবি, হস্টেলে যাওয়ার পর পিৎজা এবং জল খেতে দেয় দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। বমি পায়। তবে ওই যুবক তাঁকে শৌচালয়ে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তরুণীর দাবি, যুবক চড়-থাপ্পড় মারে। অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরুণী। জ্ঞান ফেরার পর অভিযুক্তের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিদেবপুর থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই হস্টেলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে। একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক পরমানন্দ জৈন। সে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা।

ধৃত অভিযুক্ত পরমানন্দ জৈন

কসবার আইন কলেজে ইউনিয়ন রুমে ছাত্রীর গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে যায়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিক্ষাঙ্গণে ধর্ষণের ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা নিয়ে চলছে জোর কাটাছেঁড়া। প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এক তরুণী বয়েজ হস্টেলে ঢুকলেন? কেন নিরাপত্তারক্ষীরা আগেই বাধা দিলেন না? শোনা যাচ্ছে, সম্ভবত ভিজিটার্স বুকেও তরুণীকে সই করতে দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত যুবক পরমানন্দ কি তবে প্রভাবশালী? সে কারণেই তরুণীকে বয়েজ হস্টেলে ঢোকার পথে বাধা দেওয়া হয়নি? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। পুলিশ আপাতত নির্যাতিতার বয়ান এবং তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করছে। ধৃত যুবককেও দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সোশাল মিডিয়ায় আলাপ।
  • হস্টেলে ডেকে পিৎজা-মাদক মেশানো জল খাইয়ে 'ধর্ষণ'।
  • আইআইএম জোকা কাণ্ডে দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Advertisement