অভিরূপ দাস: ১১ বছর পর ফের কলকাতায় মিলল পোলিওর (Polio Virus) জীবাণু। মেটিয়াবুরুজের একটি নর্দমা থেকে পোলিওর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে স্বাস্থ্যদপ্তর। শিশুদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিনকয়েক আগে মেটিয়াবুরুজের নর্দমার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই মেলে পোলিও ভাইরাস। তিন-চারদিন আগে তা নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়। ওই বৈঠকে পোলিও ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা শিশুদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ড: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় নোটিসে সাড়া, নিজাম প্যালেসে হাজিরা শওকত মোল্লার]
পেটখারাপের সমস্যা নিয়ে কোনও শিশু চিকিৎসকের কাছে পৌঁছলে, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার চিকিৎসা করতে হবে। কারণ, পোলিওর প্রাথমিক উপসর্গ পেটখারাপ। এছাড়া পোলিও টিকাকরণ কর্মসূচিও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। মেটিয়াবুরুজ এলাকায় প্রকাশ্যে শৌচকর্মের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া পুরসভার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পোলিও টিকাকরণের গুরুত্ব বোঝানোর কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে হাওড়ার বাসিন্দা এক বালিকার শরীরে শেষবার পোলিওর জীবাণু পাওয়া যায়। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ পোলিও মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পায় ভারত (India)। বাংলাকেও পোলিওমুক্ত রাজ্য বলেই ঘোষণা করা হয়। তবে ১১ বছর পর ফের কলকাতায় পোলিওর জীবাণু মেলায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যদপ্তর। দেশ তথা গোটা রাজ্য পোলিওমুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পোলিও টিকাকরণ কর্মসূচি চলেছে সমান তালে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ফের কলকাতায় পোলিওর জীবাণু মিলল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। ২০২০ সাল থেকে করোনার ভয়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স, টোম্যাটো ফ্লু উদ্বেগ বাড়িয়েছে সকলের। তারই মাঝে ফের পোলিও ভাইরাসের খোঁজ মেলায় সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের।