সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্সফোর্ডের পর কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকেও এল আমন্ত্রণপত্র। আগামী সপ্তাহের লন্ডন সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৪-২৬ মার্চের মধ্যে সেখানে বাংলার মহিলা উন্নয়ন থেকে মেরুকরণ বিষবাষ্প উড়িয়ে সকলের নেত্রী, তৃণমূলের সকলের দল হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনী শোনাবেন মমতা।
পরিসংখ্যান বলছে, লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ৬৫ শতাংশ পড়ুয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং সমাজের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। লন্ডনের বহু পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ছেলেবেলা থেকেই যাদের অদম্য লড়াই করতে হয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন সংঘর্ষের গল্প তাঁদের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই রাষ্ট্রসংঘে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সম্মান প্রাপ্তির উল্লেখ করে আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে, 'মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্প ও উদ্যোগের জন্য বাংলা আজ গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ, কেস স্টাডি। বিশ্বজুড়ে যখন গণতন্ত্র ক্রমেই জমি হারাচ্ছে, মেরুকরণের রাজনীতি প্রাধান্য পাচ্ছে ঠিক তখন আপনি, আপনার দল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের ভোটে আপনি নির্বাচিত হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধি সংসদে পাঠাচ্ছেন। কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব হচ্ছে, তা আপনার মুখ থেকেই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শুনতে চায়। যাতে ভবিষ্যতে এই সমস্ত প্রকল্প, উদ্যোগ দেশজুড়ে বাস্তবায়ন করতে পারে।' তবে সাতদিনের ব্যস্ত সফরে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে মমতা বক্তব্য় রাখবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের আমন্ত্রণপত্র।
চলতি মাসের শেষে ব্রিটেন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে। সূত্রের খবর, পাঁচদিনের বিদেশ সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। একদিকে যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের সামনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সেখানে সংস্কৃতি থেকে পর্যটন, অর্থনীতি থেকে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি আবার লন্ডনের একটি শিল্প বৈঠকেও যোগ দেবেন মমতা। লক্ষ্য বাংলায় বিনিয়োগ টানা। রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশের কথা বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরবেন তিনি। ২৯ মার্চ শহরে ফিরবেন মমতা। এর মধ্যে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে তিনি বক্তব্য রাখার সময় বের করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।