সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক। মুখে একতার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক বিভাজনই অস্ত্র বিজেপির। সংসদে মোদির একতার ভাষণের পর, বাংলার তৃণমূল নেতাদের উদাহরণ তুলে গোটা ঘটনাকে 'দ্বিচারিতা' বলে পালটা তোপ দাগল তৃণমূল।

মঙ্গলবার সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের ঢালাও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, "মহাকুম্ভ থেকে একতার অমৃত পেয়েছি আমরা। দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে আসা মানুষ এক হয়ে গিয়েছেন প্রয়াগরাজের তীর্থক্ষেত্রে। আলাদা আলাদা জায়গা থেকে এসে মানুষ দেশের একজোট হয়েছেন। ‘আমি’ থেকে তাঁরা মিশে গিয়েছেন ‘আমরা’য়। মহাকুম্ভ হয়ে উঠেছিল একতার এক অনন্য নজির। গোটা বিশ্বে যখন আমরা ভাঙন দেখছি, সেখানে বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যের উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরেছে মহাকুম্ভ। গোটা বিশ্ব মহাকুম্ভের মাধ্যমে ভারতের বিরাট স্বরূপ দর্শন করেছে।”
সংসদে প্রধানমন্ত্রী যখন মহাকুম্ভকে হাতিয়ার করে একতার এমনই গালভরা ভাষণ দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল লেখে, 'একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে বিবিধের মাঝে ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন। অন্যদিকে, তাঁর অনুগত যোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্য, সুকান্ত মজুমদাররা বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে ঘি ঢালছেন। মুখে ঐক্যের গালভরা ভাষণ আর কাজে হিংসার আগুন ছড়ানোর এই দ্বিচারিতা অত্যন্ত বিরক্তিকর।'
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে বিদ্বেষের কথা। সম্প্রতি ধর্মীয় বিদ্বেষে উস্কানি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বাংলায় এবার বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। ওদের দলে (তৃণমূল কংগ্রেস) যে কজন মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে, তাদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেব। এর পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্যদের মুখে প্রায়শই শনা যায় বিদ্বেষের কথা। সেই ইস্যু তুলে ধরেই এবার সরব হল তৃণমূল।