রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ধর্ম-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শোকজের পর এবার দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে সশরীরে হাজিরা দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নয়, মৌখিকভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে তিনি বিধানসভায় হাজির হন। তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বলে এড়িয়ে গেলেও দেখা গেল, নওশাদের সঙ্গে হেসে বাক্য বিনিময় করলেন হুমায়ুন। বললেন, ''আমরা আছি, থাকব।'' নওশাদ-হুমায়ুনের সাক্ষাতে যে মেজাজ দেখা গেল, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কি নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে শাসক-বিরোধী দুই বিধায়কের? উঠছে এই প্রশ্নও।

বারবার বেফাঁস কথা বলা দলের বিধায়ককে গত ৬ মাসে একাধিকবার সতর্ক করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তারপরও বেলাগাম হুমায়ুন কবীর। দলেরও আগে জাতিসত্ত্বা - এমন মন্তব্য করে সম্প্রতি ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আর সেই কারণে শোকজের পরও তাঁকে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তাই বিধানসভায় গিয়েছেন হুমায়ুন। একই সময়ে নওশাদ সিদ্দিকিও সেখানেও পৌঁছন। দু'জনের দেখা হয়, হাসিমুখে কথা হয়। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে হুমায়ুন বললেন, ''দেখুন এটা তো সৌজন্য সাক্ষাৎ। উনি বিধানসভার সদস্য, আমিও তাই। আমাদের তো দেখা হবেই, কথাও হবে। এখন তো বিরোধী বলতে সিপিএম বা কংগ্রেস নেই। একমাত্র উনিই রয়েছেন আইএসএফ থেকে। কথা না বলার তো কিছু নেই।''
এদিকে, হুমায়ুনকে এদিন মৌখিকভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দিয়েছে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এতদিন দলের আগে নিজের জাতি বলে গলা ফাটিয়েছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু কমিটিতে হাজিরা দেওয়ার পর জানালেন, এবার থেকে দলের নির্দেশ মেনে চলবেন।