অর্ণব আইচ: নারীঘটিত অশান্তির জেরেই রাজাবাজারে (Rajabazar) ফলবিক্রেতা খুন! তদন্তে নেমে এমন ইঙ্গিতই পেয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী, ‘সুপারি কিলার’কে কাজে লাগিয়ে রাজাবাজারের মোড়ে ব্যবসায়ী মেহবুব আলমকে কুপিয়ে খুন করানোর সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
সোমবার রাজাবাজারের (Rajabazar) মোড়ে কলাভর্তি সাইকেল ভ্যান নিয়ে ব্যবসা শুরু করার আগেই কেশব চন্দ্র স্ট্রিটের দিক থেকে এসে এক যুবক মেহবুব আলমার গলার ডানদিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ বসায়। তাতেই মৃত্যু হয় ওই ফল ব্যবসায়ীর। প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে যে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন এই ব্যক্তি। টাকা লেনদেন নিয়ে তাঁর সঙ্গে কারও গোলমাল ছিল না। অথচ আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, রীতিমতো ছক কষেই মুখে গামছা বেঁধে আততায়ী সঙ্গে ছুরি নিয়ে আসে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রাস্তার উপর মেহতাবকে খুন করে কিছুদূর হেঁটে যায়। অনেকটাই দূরে দাঁড়িয়েছিল একটি বাইক। সেটি করেই পালিয়ে যায় খুনি। এরপরই মেহবুবের কয়েকজন পরিচিত ও বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, এক মহিলাকে কেন্দ্র করেই কিছুদিন আগে একটি গোলমাল বেঁধেছিল। ওই মহিলা মেহবুব ও তাঁর বন্ধুদের অত্যন্ত পরিচিত। মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফলবিক্রেতা। তা নিয়ে বন্ধুমহলে গোলমালও হয়। আবার ওই মহিলাকে ঘিরে ওই ব্যবসায়ী কিছু মন্তব্য ও কটূক্তি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে খবর।
মেহবুবের কয়েকজন বন্ধুর মাধ্যমে ওই মহিলার ভাইরা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মেহবুব প্রশ্নের মুখেও পড়েন। দুই পরিবারের মধ্যেও গোলমালও হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে হুমকিও দিয়েছিল। ওই পুরনো গোলমালের জেরেই খুন, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। পুলিশের সন্দেহ, ওই গোলমালের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নিজেরা সামনে না এসে কোনও ‘সুপারি কিলার’ নিয়োগ করে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, পুরো এলাকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খুনের তদন্তে কিছু সূত্র মিলেছে। এ ছাড়াও পুলিশ আধিকারিকরা মেহবুব আলম ও তাঁর বন্ধু এবং পরিচিতদের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছেন। মোবাইলের সূত্র ধরে খুনির সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
