অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বাগবাজারের (Bagbazar) বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে রাজ্য প্রশাসন ও দমকল বিভাগের ভূমিকার প্রশংসা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন (Ramkrishna Math and Ramkrishna Mission)। মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়োচিত সিদ্ধান্ত এবং সক্রিয়তার প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে বুধবার সন্ধেয় বাগবাজারের হাজারি বস্তির অগ্নিকাণ্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের অন্তর্গত ‘মায়ের বাড়ি’ ও ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার কার্যালয়ের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের তৎপরতা এবং দমকল বাহিনীর সক্রিয়তার জন্য বড় ক্ষতি থেকে বাঁচা গিয়েছে বলে মত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের।
বুধবার সন্ধে নাগাদ সিলিন্ডার বিস্ফোরণের (Cylinder blast) জেরে আগুন লেগে যায় বাগবাজারের হাজারি বস্তিতে। একের পর এক সিলিন্ডার ফাটতে থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দমকলের ২৭টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও, ততক্ষণে পুড়ে ছাই বস্তির বহু ঘর। মাথার ছাদটুকু হারিয়ে সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েন প্রচুর মানুষ। যেখানে আগুন লেগেছে, তার ঠিক পাশেই বাগবাজারের প্রসিদ্ধ ‘মায়ের বাড়ি’। সেখানেই ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার কার্যালয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানেও। জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্গত এই ভবনও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজে হাজারি বস্তিতে গিয়ে অসহায় মানুষজনের পাশে থাকার কথা দেন। আপাতত তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা ছাড়াও অন্নসংস্থানও করে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই’, বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী]
এরপর দুপুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার কার্যালয়ের দোতলা ও তিনতলার কয়েকটি দরজা, জানলা এবং এসি মেশিন পুড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। ‘মায়ের বাড়ি’ও খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভবনে যে কর্মীরা থাকেন, তাঁরাও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছেন। এর নেপথ্যে মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ প্রশাসনের ভূমিকা এবং দমকল বাহিনীর সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।