অর্ণব আইচ: আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলায় জামিন সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। শিয়ালদহ আদালতে জামিন পেলেন দুজনে। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁদের। ৯০ দিন পরেও সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে না পারায় জামিন পেলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ।
চলতি বছরের গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় প্রথমে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ধর্ষণ ও খুনের মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। সিবিআই ঘটনার তদন্তভার পায়। তদন্তে নামার পর একাধিকবার সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত জোড়া মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে।
আর জি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখও করা হয়। তবে সন্দীপ ঘোষ কিংবা অভিজিৎ মণ্ডল ঠিক কীভাবে যুক্ত ছিলেন এই মামলায়, সে বিষয়ে চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণেই শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেয়। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করতে হবে দুজনকেই। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে জামিন পেলেও এখনও চলছে আর্থিক দুর্নীতি মামলা। সে কারণে এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না সন্দীপের। তবে অভিজিৎ মণ্ডলের জেলমুক্তি হবে। সিবিআইয়ের ব্যর্থতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চাপানউতোর। তদন্তকারীদের 'অপদার্থ' বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।