সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের(RG Kar Case) তদন্তে আরও তৎপর সিবিআই। ট্রমা কেয়ারের প্রাক্তন ইনচার্জ সুজাতা ঘোষ, বর্তমান নোডাল অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। 'সাসপেন্ডেড' ৫১ জনকে নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা। তাদের মধ্যে দশজনের পাশ করা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই খবর।
বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ চার সদস্যের সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে অভিষেক পাণ্ডে। কীভাবে কোনও রোগী না দেখে, প্রেসক্রিপশন না লিখে, বায়োমেট্রিক না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পিজিটি হলেন, তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। মনে করা হচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ 'ঘনিষ্ঠ' হওয়ার ফলেই অভিষেক বেনিয়ম চালিয়ে গিয়েছে।
রেডিওথেরাপি বিভাগের রেসিডেন্স চিকিৎসক সৌরভ পালের কার্যকলাপও সিবিআইয়ের নজরে।
উল্লেখ্য, অভয়ার মৃত্যুর রেশ ধরেই উঠে আসে আর জি করে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ। পরবর্তীতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। আলোচনা চলাকালীন আর জি করের অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “প্রশাসনকে না জানিয়ে কেন সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্যবিভাগকে জানালেন না কেন? সরকার বলে একটা পদার্থ আছে।” বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-ডাক্তারি ছাত্রদের মধ্যে বাদানুবাদ তৈরি হয়। তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই মঙ্গলবার ‘থ্রেট কালচারে’ ৫৩ জন চিকিৎসককে সাসপেনশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। সাফ জানানো হয়, আপাতত সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যকরী নয়। ওই চিকিৎসকরাই এখন সিবিআই স্ক্যানারে।