রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ডাক্তারদের আন্দোলন বা নাগরিক মিছিলে থেকে সিপিএম যে তাকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাচ্ছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যেই। বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সিপিএমের সদ্যপ্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় সেলিম বলেন, ‘‘যখন এখানে আমরা দলের তরফে সমাবেশ, মিটিং-মিছিল করেছি, আক্রান্তদের নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছি, তখন সিপিএমের কথা কেউ শুনতে চাইছিল না। দূরবীণ দিয়েও লাল ঝান্ডা দেখতে পাচ্ছিল না। আর আজকে আর জি কর নিয়ে গণ আন্দোলন, প্রতিবাদের আবহাওয়ায় সিপিএমকে খুঁজছে, কেন সিপিএম আছে চর্চা হচ্ছে।’’
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নাগরিক সমাজ ও ডাক্তারদের মিছিলে সিপিএম নেতারা সক্রিয়ভাবেই ছিলেন। আর জি করের নাগরিক সমাজের আন্দোলনের পিছনে সিপিএমের থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে সেলিমের দাবি, বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপির দ্বিমেরু রাজনীতি ভাঙছে। তাই সিপিএমকে এখন সর্বত্র খুঁজে পাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘সীতারাম বলতেন, তৃণমূল-বিজেপি বাইনারি ভাঙতে হবে। বামপন্থীদের কাজ হচ্ছে, বাইনারি ভাঙা।’’ বামপন্থার পুনর্জাগরণ যদি পশ্চিমবঙ্গ থেকে না হয় তাহলে সারা দেশে বামপন্থার উত্থান হওয়া কঠিন, এমনই মন্তব্য সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের।
সেলিমের কথায়, ‘‘পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে দুজন (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সীতারাম ইয়েচুরি) রাজনৈতিক গুরুর শবদেহ কাঁধে বহন করতে হয়েছে। কাঁধের জোর আরও বাড়াতে হবে।’’ বিমান বসুর বক্তব্য, ‘‘ঘরে বসে থাকলে চলবে না। রাজনৈতিক কার্যকলাপে আরও বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। তবেই সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। সীতারাম দিনরাত পরিশ্রম করতেন।'' পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাতের বক্তব্য, ‘‘ইন্ডিয়া জোট গঠনে সীতারামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজেপিকে হারাতে দলের রাজনৈতিক ও কৌশলগত লাইন বাস্তবায়িত করেছেন সীতারাম ইয়েচুরিই।