স্টাফ রিপোর্টার: কেউ বলছেন, ২০০০ টাকার নোটের শান্তি কামনা করি। কেউ বলছেন, এই নোটে চিপ লাগানো আছে। কেউ আবার নোটের গলায় মালা পরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ২০০০ টাকার নোট ঘিরে শনিবার দিনভর তর্কে তুফান চলল পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে।
আরবিআইয়ের (RBI) ঘোষণার পরই ৯০ শতাংশ দোকান ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করেছে। হাতে তিন মাস সময় থাকলেও দোকানদারেরা বেশিরভাগই জানিয়েছেন, এই নোট তাঁরা এখন নেবেন না। ফলে যার ঘরে যা এই গোলাপি নোট রয়েছে তা নিয়ে ছুটেছেন ব্যাংকে। কিন্তু এদিনও তো নোটবদল শুরুই হয়নি। ২৩ তারিখ থেকে ব্যাংকে সেই কাজ শুরু হবে। তথ্য না জেনে ফলে এদিন অনেকেই ব্যাংকে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরেছেন। মাছ-মাংসের দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকান, শপিং মল সর্বত্রই যেন দু’হাজারি আতঙ্ক ছিল এদিন। কেউ আর নিতে চাইছেন না।
[আরও পড়ুন: এবার মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনের বদলে চলবে বন্দে ভারত! অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় রেলের]
২ হাজার টাকার নোটের আত্মার শান্তিকামনা করে মিম পোস্ট করেছেন অজস্র নেটিজেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ এবং ১০০০-এর নোটের সঙ্গে কথোপকথন হচ্ছে ২০০০-এর নোটের। তাঁরা এই নোটটিকে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। অবশ্য ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় যে আতঙ্ক মানুষের মনকে গ্রাস করেছিল, এদিন তেমনটা হয়নি। কারণ মানুষের বক্তব্য, কার ঘরে আর কতগুলো ২০০০ টাকার নোট আছে! তাই ৫০০, ১০০০ হলে মানুষের মধ্যে যে হুড়োহুড়ি ধরা পড়ত এদিন তেমনটা দেখা যায়নি।
এদিকে এই নোট বাতিলের আঁচ পড়েছে কলকাতা পুরসভাতেও। এবার তা নিয়ে উত্তাল হল কলকাতা পুরসভা। শনিবার অধিবেশন চলাকালীন পুরসভার অধিবেশনে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। প্রস্তাব পাঠ করতে গিয়ে কাউন্সিলর বলেন, না চেয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বাংলার উৎকর্ষের কথা স্বীকার করতেই হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁরা রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিজেপি কাউন্সিলরদের তোপ দেগে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। এবার দিল্লিতে গিয়ে আসতে আসতে ১০০ দিনের কাজের টাকাগুলো দিতে বলুন। অসংখ্য দরিদ্র মানুষের রোজগার জড়িয়ে ওর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: হিন্দুর বাড়ি মুসলিম পরিবার কিনতেই বিক্ষোভ রাজস্থানে! বিজেপির বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ কংগ্রেসের]
বিজেপি কাউন্সিলররা বাধা দিতে গেলেই পালটা দু’হাজার টাকার নোট বাতিলের প্রসঙ্গ তোলেন অরূপ। চিৎকার করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তো আবার ২০০০ টাকার নোট বাতিল করেছে। কত আর বাতিল করবে। এবার নিজেরাই বাতিল হয়ে যাবে। এ কথা তুলেই আগুনে ঘি পড়ে। প্রস্তাব বহির্ভূত কথা বলার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। মালা রায়কে তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন কীভাবে কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীকে প্রস্তাবের বাইরে বক্তব্য রাখার অনুমতি দিলেন। বিরোধীদের তো এমন অনুমতি দেওয়া হয় না।