সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেন্দ্রীয় অবজার্ভারের পর এবার এসআইআর পর্যায়ের শুনানি পর্বের উপর নজরদারির জন্য মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সকালে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে চিঠি পাঠিয়ে কমিশনের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আধিকারিকদের এই পদে নিয়োগ করতে হবে।
চলতি মাসের ১২ তারিখে মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করতে চেয়ে দিল্লিতে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই অনুমতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দপ্তর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করতে হবে। সে হিসাবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ৩০০০-রও বেশি মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, শুনানির সময় প্রতি কক্ষে একজন করে মাইক্রো অবজার্ভার থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে মূলত শুনানি পর্বে ইআরও এবং এইআরও-দের কাজে নজর রাখা।
এনুমারেশন ফর্ম, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র এবং শুনানিতে আসা ভোটারদের নথি যাচাই করার পাশাপাশি ভোটার তালিকার অসঙ্গতি চিহ্নিত করা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণও তাঁরাই করবেন। বস্তুত কমিশনের চোখ ও কান হিসাবে শুনানি কক্ষে উপস্থিত থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভাররা। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবে সিইও দপ্তর। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত সিইও-র অধীনেই তাঁরা কাজ করবেন। পারিশ্রমিক হিসাবে পাবেন এককালীন ৩০ হাজার টাকা। নতুন কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিলেও এদিনও শুনানি কবে শুরু হবে তা বলতে ব্যর্থ কমিশন কর্তারা। সূত্রের খবর, শুনানির জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ শেষ না হওয়ায় শুনানির পদ্ধতি জানা যাচ্ছে না। শুনানির ফর্মও পাঠানো হয়নি। কমিশন আধিকারিকদের ধারণা, আগামী ২৬ বা ২৭ তারিখ থেকে শুনানির কাজ শুরু করা যাবে।
উল্লেখ্য, বাংলা ছাড়া দেশের অন্য কোনও রাজ্যে মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করা হচ্ছে না। বিহারের ক্ষেত্রেও সেই নজির নেই। এরপরও অবশ্য শুনানি কবে শুরু হবে, তা জানাতে পারেনি কমিশন। এসবের মধ্যেই এদিন কাজের চাপে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মৃত্যু হয়েছে প্রভাসকুমার দাস (৫৮) নামে এক বিএলও-র। পরিবারের অভিযোগ, ঠান্ডার মধ্যে রাত জেগে এসআইআরের কাজ করার চাপেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ডায়মন্ড হারবারের কালীচরণপুরে তপন মণ্ডল নামে এক বিএলও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও স্ত্রী-র তৎপরতায় প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে তাঁকে। তিনি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
