সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি পাওয়ার পরও কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারছেন না। দিনের পর দিন এই ‘বঞ্চনা’র অভিযোগে ধরনায় বসেছিলেন SLST-র অধীনস্ত কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। এখনও জট না কাটায় তাঁরা এবার দেখা করতে এলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা SLST-র আরেক আন্দোলনকারী পক্ষের পাশে থাকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে। শনিবার ১৬ জনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি চাকরিতে যোগ দিতে না পারার দায় ঠেললেন একাংশ আইনজীবীর উপর। নাম না করে বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেই (Bikash Ranjan Bhattacharya) নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর অনুরোধ, ”আপনারা এঁদের থেকে দূরে থাকুন। চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”
২০১৬ সালে SLST-র কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিভাগে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন শিবানী কুট্টি রায়, জামাল শেখ-সহ অনেকেই। তাঁদের নিয়োগের জন্য ১৬০০ শূন্যপদ তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) চেষ্টাতেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশপত্রও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র আর হাতে আসে না চাকরিপ্রার্থীদের। ফলে চাকরিও হয়নি। এর নেপথ্যে আইনজীবীদের ভূমিকাকেই দায়ী করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর ব্যাখ্যা, একেক পক্ষের হয়ে বারবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারিতে এগিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাতেই জট পেকেছে। কারণ, স্থগিতাদেশ না উঠলে সরকারি প্রক্রিয়া মেনে চাকরি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর এই মন্তব্যকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ জবাব, কুণালের কথার জবাব দিতে বাধ্য নই।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির উত্তরসূরি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী’, কার কথা বললেন প্রশান্ত কিশোর?]
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, ন্যায্য চাকরি পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে তাঁরা ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। এদিন বৈঠকের পর এক চাকরিপ্রার্থী রীতিমতো কান্নাকাটি করে বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আমাদের জন্য শূন্যপদ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সমস্ত রাস্তা পরিষ্কার ছিল। কিন্তু তার পরও আমরা যোগ দিতে পারিনি। আমরা কদিন অপেক্ষা করব আর? সময় চলে যাচ্ছে। আমাদের কতজনের কত কাজ আটকে রয়েছে আমরা চাকরি পাইনি বলে।”