সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। এদিন সন্ধে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। হৃদপিণ্ডে ২ দিন আগেই স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। আজ সন্ধেবেলা সেই স্টেন্টেই সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তারি পরিভাষায় ‘স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে’ আক্রান্ত হন তিনি। জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ডাকা হয়। মন্ত্রীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ICCU-তে। কিন্তু যুদ্ধে হেরে গেলেন তিনি।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ির কালীপুজো ছেড়ে এসএসকেএমে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্ডিওলজি বিভাগ অর্থাৎ যেখানে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ভরতি, সেখানে গিয়ে ডাক্তারদের থেকে খবরাখবর নেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ”বউদি অনেক চেষ্টা করেছেন। সহকর্মীরা অনেক চেষ্টা করেছেন। দীপাবলিতে এত বড় অন্ধকার নেমে আসবে ভাবিনি। আমি সুব্রতদাকে এই অবস্থায় দেখতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: মুসলিম বলেই কলকাতায় বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না, অভিযোগ ক্ষুব্ধ চিকিৎসকের]
গত ২৪ অক্টোবর রাতে বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি নিয়ে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি হন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পরের দিন ভোরে আচমকা হার্ট ফেলিওর হওয়ায় তাঁকে কার্ডিওলজির আইসিসিইউ–তে স্থানান্তরিত করা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অধ্যাপক সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতেই তাঁকে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন ‘ঘরের ময়ে’, বাড়ির কালীপুজোয় ভোগ রাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী]
তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখেশুনে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, দ্রুত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হবে। সেই মতো শনিবার তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়। চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। তবে কালীপুজোর সন্ধেতেই ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। থেমে যায় তাঁর দীর্ঘ ৭৫ বছরের বর্ণময় জীবন।