গোবিন্দ রায়: 'কালীঘাটের কাকু'র আগাম জামিনের মামলায় ফের হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে সিবিআই। ইডির মামলায় জামিন পাওয়ার পরই কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) গ্রেপ্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠল সিবিআই? প্রশ্ন করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। নতুন করে কী এমন তথ্য মিলেছে, যার জেরে গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্ত, তাও জানতে চান বিচারপতি। এদিকে সিবিআইয়ের দাবি, বিশেষ আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তার অর্থ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। ফলে আগাম জামিন করাই যায় না বলে মন্তব্য সিবিআইয়ের আইনজীবীর।
কালীঘাটের কাকুকে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির আরজি ও আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে এদিন একাধিক প্রশ্ন তুলল আদালত। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রশ্ন করেন, ED'র মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরই কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপর হল সিবিআই ? তিনি বলেন, "আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সিবিআই কখনওই তাড়াহুড়ো করে গ্রেপ্তারির উপর জোর দেয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক তথ্য পাওয়া যায় ততক্ষণ গ্রেপ্তারির পথে যায় না।" বিচারপতি বাগচীর কথায়, "আমি জানতে চাই, সিবিআই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে এমন কোন তথ্য পেয়েছে যার জন্য এখনই গ্রেপ্তারির উপর জোর দিচ্ছে। দেড় বছর আগে ইডি সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন কেন হঠাৎ তৎপরতা?"
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "বিশেষ আদালতের তরফ থেকে প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। তার মানে ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আমরা যেকোনও মুহূর্তে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারি।" তিনি আরও বলেন, এই আগাম জামিনের মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সুজয়কৃষ্ণকে জামিনের আবেদন করতে হবে। পালটা জবাবে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী বলেন, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট যেহেতু কার্যকর হয়নি। তাই আগাম জামিনের আবেদন করা যেতেই পারে। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি।