স্টাফ রিপোর্টার: পার্টি থেকে ছমাসের জন্য সাসপেন্ড। অথচ সিপিএমের দলীয় কর্মসূচি 'গণশক্তি' পত্রিকার ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে শ্রোতার আসনে দেখা গেল দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে। আর যা নিয়ে পার্টির একাংশের মধ্যে প্রশ্ন, তরুণী সাংবাদিককে হেনস্তা করার অভিযোগে তন্ময়কে কি তা হলে পার্টি লোকদেখানো সাসপেন্ড করেছে?
শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে অনুষ্ঠিত সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকার ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তা হিসাবে ছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, শমীক লাহিড়ী প্রমুখ নেতৃত্ব। আর সেই অনুষ্ঠানেই শ্রোতার আসনে দেখা গেল তন্ময়কে। কোনও সাসপেন্ড হওয়া নেতার দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা নিয়ে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলেরই অন্দরে। পার্টির একাংশ বলছে, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সিদ্ধান্ত নিয়ে সাসপেন্ড করেছিলেন তন্ময়কে। তাহলে কি তা শুধু খাতায়—কলমে ছিল, না কি লোক দেখানো। আবার এমনও মনে করছেন অনেকে যে, দলের একাংশের চাপের মুখেই এদিন তন্ময়কে 'এন্ট্রি' দেওয়া হয়েছিল।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। তারপরই ভাষণ দিতে উঠে দলের নেতা—কর্মীদের একাংশের উদ্দেশে প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেন, "হঠকারিতার পথ বিপ্লবের নয়। কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে হঠকারী উপদলীয় কাজের জায়গা নেই। পার্টির ভিতরের রিপোর্ট শত্রু শিবিরের হাতে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর চেয়ে পার্টি বড়।" সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, "২০২৬ সালের ভোট বাঙালি অস্মিতার জন্য হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।" সেলিমের কথায়, মেরুকরণের উপর ভোট হতে চলেছে। সেলিম আরও বলেন, "আমাদের পুরনো যে সব হাতিয়ার আছে তাকে শাণিত করতে হবে। কিছুই বাতিল নয়। কিন্তু নতুন প্রযুক্তি, নতুন প্রজন্ম, নিত্যনতুন মাধ্যম যে আসছে সেটাকে আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।" সিপিএমের আদর্শ বোঝাতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এদিন আধার করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আবার সূর্যকান্তের বক্তব্য, পার্টি ধর্মের বিপক্ষে নয়।