সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভার গেটে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান তুলতে গিয়েই বিপত্তি! 'হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ' বলে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। লিখলেন, "এই সেরেছে!"
পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দুদের গুলির ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি! হিন্দুদের উপর এই অত্যাচার নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কাশ্মীরে মৃত বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর স্ত্রীকে তিনি কথা দিয়েছিলেন, এর বিচার হবেই। বৃহস্পতিবার বিধানসভার গেটে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ালেন বিরোধী দলনেতা। অতীতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে বললেন, “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়! ভরসা রাখুন। ২৬ এর বদলে ২৬০টা মুণ্ড চাই।” হুঙ্কার ছেড়ে বললেন, “গাজার মতো পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করতে হবে।” বিধানসভার গেটে ওঠে 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগান। সেই সময়ের ভিডিওর একটা অংশ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানেই শোনা যাচ্ছে, আচমকা 'হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ' বলে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই ভিডিও নিয়ে শোরগোল শুরু। খোঁচা দিয়ে কুণাল লিখলেন, "এই সেরেছে! গুলিয়ে লাট।" শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি নেটিজেনরাও।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা যাচ্ছে, এই হামলার জড়িত জঙ্গিরা বেশিরভাগই বিদেশি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চার জঙ্গির ছবি।
