নব্যেন্দু হাজরা: মেট্রোয় চড়ে কোথাও যাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আপনি মেট্রোয় উঠে পড়েছেন। আপনার সঙ্গে থাকা কেউ রয়ে গিয়েছেন স্টেশনে। এই পরিস্থিতিতে বহু মেট্রো যাত্রী জোর করে দরজা বন্ধে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর তার ফলে মেট্রো পরিষেবায় সমস্যা তৈরি হয়। কারণ, মেট্রো পরিষেবা সময়মতো চালু রাখার ক্ষেত্রে এক এক সেকেন্ডও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি মেট্রো কর্তৃপক্ষ এমনই এক মহিলা যাত্রীকে চিহ্নিত করেছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, ঘটনাটি শনিবারের। ওইদিন এক মহিলা ইয়েলো লাইনে যাত্রী নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর রুটের মেট্রো যাচ্ছিলেন। দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে তিনি মেট্রোয় চড়েন। তবে তাঁর সঙ্গী উঠতে পারেননি। তাই তিনি দরজা বন্ধে বাধা দেন। কয়েক মিনিটের জন্য ওই স্টেশনে থমকে যায় মেট্রো। কিছুক্ষণের মধ্যে মোটরম্যান মেট্রো থেকে নেমে স্টেশনে আসেন। নিজে দরজা বন্ধ করেন। তারপর ফের মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তার ফলে প্রতিটি স্টেশনে কিছুটা সময় পরে গিয়ে পৌঁছয় ওই মেট্রোটি। কিছুক্ষণের জন্য আংশিক ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
এবার থেকে ওই সমস্যা মেটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পথে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে কেউ জোর করে মেট্রোর দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেই জানানো হয়েছে। যদি কারও পিঠে থাকা ব্যাগের ফলেও দরজা বন্ধে সমস্যা তৈরি হয়। তাতেও জরিমানা করা হবে বলেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয়েছে। বলে রাখা ভালো, কম সময়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে মেট্রোর কোনও বিকল্প নেই। অথচ গত কয়েক মাসে মেট্রো পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই যাত্রীদের। কখনও দেরিতে মেট্রো স্টেশনে পৌঁছনো, কখনও মেট্রোর দরজা বন্ধ হওয়ার সমস্যা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করতেই এহেন পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের। তাই প্রতিনিয়ত মেট্রো স্টেশনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিয়মভঙ্গকারীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আর পাঁচজন যাত্রীর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কারণে প্রত্যেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
