গোবিন্দ রায়: রাজ্যে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এবার থেকে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে গাইডলাইন। এই আইনে যে কোনও শিক্ষককে যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারে শিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (AG)পরামর্শের পর এই সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ”কোনও জঙ্গল আইন চলতে পারে না। যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে এবার থেকে এই আইন প্রয়োগ করবেন। কলকাতার শূন্য ছাত্রের স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ায় যেতেই হবে।” শিক্ষা দপ্তরকে (Education Department) নির্দেশ দেওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে তা পালন করতে হবে। শিক্ষক যদি না পালন করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা দপ্তর।
পুরুলিয়ার (Purulia) এক স্কুলের শিক্ষক বদলি মামলায় হাই কোর্ট এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। গত মাসে এই শুনানিতে ভর্ৎসনার মুখে পড়েন মামলাকারীরা। পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, ”শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই আদালত ওই পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত।”
[আরও পড়ুন: নিশানায় মিডিয়া, তবু কেন ঐশ্বর্য-অক্ষয়কে টানলেন রাহুল গান্ধী?]
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ওই স্কুলে কতজন পড়ুয়া রয়েছে? আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, পডুয়ার সংখ্যা ৫৬ জন। তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “এখন ভাল করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। এখন আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানতে চেয়েছেন। আমিও চাইছি।”
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী হওয়ায় সামাজিক বয়কটের শিকার! সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ]
এরপর শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিয়ে জানায়, প্রশাসনিক বদল গাইডলাইন মেনে শিক্ষক বদলি করতে হবে। প্রয়োজনে দূরের স্কুলেও যেতে হবে। শিক্ষকদের মর্জিমাফিক আর কিছু হবে না। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।