ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোনও রোগীকে ফেরাতে পারবে না সরকারি হাসপাতাল। সরকারের তরফে কড়া বার্তা ছিল এমনই। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘রেফার’ (Refer) রোগ থেকে সেরে উঠতে আগ্রহী নয় কোনও হাসপাতালই। তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল সোমবারের ঘটনায়। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) এক বৃদ্ধকে ঘুরতে হল তিনটি হাসপাতালে। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বিনা চিকিৎসার পর ভরতি হলেন মেডিক্যাল কলেজে। এহেন ঘটনায় স্বভাবতই চরম ক্ষুব্ধ তাঁর পরিবার।
গোসাবার (Gosaba) বছর পঁয়ষট্টির বাসিন্দা সোমবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ না থাকায় তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। রাতেই কলকাতায় পৌঁছন রোগী ও তাঁর পরিবার। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে বেড না থাকায় এনআরএসে (NRS) রেফার করে কর্তৃপক্ষ। এনআরএসে আসার পর দেখা যায়, সেখানেও বেড নেই। ফলে আবার রোগীকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে যান পরিবারের সদস্যরা। ঠাঁই মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ‘রাগ ছিল, জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি’, ESI হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলা মহিলার]
সবশেষে ভোরের দিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College) হাসপাতালে ভরতি করানো হয় পঁয়ষট্টির বৃদ্ধকে। তবে সেখানে বেড মেলেনি। এমারজেন্সি বিভাগে ট্রলিতেই পড়ে ছিলেন বেশ খানিকক্ষণ। হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হওয়ার পর শুধুমাত্র হাসপাতালে ভরতি করাতেই এত দীর্ঘ সময় লাগল। সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় তাঁর বড়সড় বিপদ হতে পারত।
[আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে আগাম সতর্কতা, রোগের জীবাণু খুঁজতে এবার বাড়ি বাড়ি অভিযানে পুরসভা]
এই ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ পরিবার। সরকারি হাসপাতালে রেফার নিয়ে সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জরুরি অবস্থায় যেভাবেই হোক, রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে বলে একাধিকবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের রোগীকে এত হাসপাতাল ফেরাল, এই প্রশ্নই বারবার তুলছেন তাঁরা।