ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের পথে শাসকদল তৃণমূল। দলের হুইপ অমান্য করে যে বিধায়করা অধিবেশনের শেষ দিন যোগ দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৫০ জনের বেশি বিধায়ক গত ২০ মার্চ গরহাজির থাকলেও পরে দেখা যায়, শেষ দিন উপস্থিত মন্ত্রী-বিধায়কের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০! বাকিরা কেন অনুপস্থিত? সোমবার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বৈঠক করেন। সূ্ত্রের খবর, অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২৯ তারিখ ফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওইদিন তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

গত সপ্তাহে বিধানসভা দ্বিতীয় ভাগের বাজেট অধিবেশনের শেষ দু'দিন অর্থাৎ ১৯ এবং ২০ মার্চ জরুরি বিল পেশের জন্য শাসকদলের সব জনপ্রতিনিধিকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল দলের তরফে। এনিয়ে তিন লাইনের হুইপও জারি হয়। একমাত্র হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, সেই বিধায়ককেই এই হুইপের বাইরে রাখা হয়েছিল। সাধারণত এ ধরনের হুইপের ক্ষেত্রে কেউ তা না মানলে কড়া শাস্তি হয়ে থাকে। বিধানসভা সূত্রে খবর, ১৯ তারিখ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে তৃণমূলের ২১৫ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন। কিন্তু শেষ দিন অর্থাৎ ২০ তারিখ মাত্র ৯০ জন মন্ত্রী-বিধায়ক উপস্থিত। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর।
এনিয়ে সোমবার তৃণমূলের পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ''অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি হয়েছে। বিষয়টা সিরিয়াস। তিন লাইন হুইপ না মানার অর্থ দলবিরোধী কাজ। সেই তালিকা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে দেব। তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।'' সূত্রের খবর, বিধানসভার তিনটি হাজিরা খাতা খুঁটিয়ে দেখে অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষরা সেসব মিলিয়ে দেখবেন। যাঁরা ২০ মার্চ, অধিবেশনের শেষ দিন অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা ২৯ মার্চ, শনিবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে স্থির হবে। এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।