shono
Advertisement
TMC meeting LIVE UPDATE

TMC রাজ্য সম্মেলন LIVE: বাংলায় ভোটারলিস্টে হরিয়ানা-গুজরাটের ভোটার! তদন্তে কমিটি তৈরি মমতার

'এটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনের আশীর্বাদে', অভিযোগ মমতার।
Published By: Paramita PaulPosted: 10:44 AM Feb 27, 2025Updated: 01:11 PM Feb 27, 2025

আজ, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের রাজ‌্য সম্মেলন। প্রধান বক্তা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। রয়েছেন রাজ‌্য ও ভিন রাজ্যের পদাধিকারী-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্টেডিয়ামের ভিতরে উপস্থিত প্রায় ১৯ হাজার নেতা-কর্মী। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলনেত্রী কী বার্তা দিচ্ছেন, স্বাভাবিকভাবে সেদিকেই নজর রয়েছে দলীয় নেতৃত্বের। প্রতি মুহূর্তের LIVE UPDATE:

Advertisement

বেলা ১২.২৯: বক্তব্য শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন,

 

  • ১০ দিন সময় দিচ্ছি। অনলাইনের সঙ্গে ভোটার তালিকা মেলান। ভুয়ো ভোটার খুঁজে বের করুন। 
  • এটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনের আশীর্বাদে। যারা এই কাজ করেছে তাদের হাতেনাতে ধরব। কিছু বিএলআরও দায়িত্ব পালন করেনি। জেলাশাসকদেরও দায়িত্ব ছিল। কিন্তু নির্বাচন এলেই দেখি প্রশাসনকে ধমকে-চমকে, দিল্লিতে ডেকে নিজেদের মতো চালায়। এত ভয় পাওয়ার কী আছে? ওদের তো আয়ু দু'-তিন মাসের। তারপর তো আমরাই থাকবষ।
  • রহস্যটা উন্মোচন করে দিলাম। এবার আপনাদের দায়িত্ব। বাংলার মানুষের কাছে অনুরোধ, নিজের ভোটার কার্ড, ভোটার তালিকা দেখে নিন। নাহলে এনআরসি, সিএএ করে বাদ দিয়ে দেবে। 
  • প্রয়োজনে বাংলায় আরও একটা জাগরণ করতে হবে। সেই জাগরণ করবেন আপনারা। বহিরাগতদের বাংলা সম্মান করে। কিন্তু বাংলা দখল করতে এলে ছেড়ে কথা বলবে না। এটা বাংলা দখলের খেলা। 
  • অনলাইনে কারসাজি করে ভুয়ো ভোটারের নাম তুলে দিয়েছে। আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে ওরা। এখানকার ভোটারদের এপিক নম্বর নিয়ে বাইরের রাজ্যের ভোটারের নাম জুড়ে দিয়েছে। বাংলার ভোটের লিস্টে সব হরিয়ানার লোকের নাম। ঠিকানা, বাবার নাম সব হরিয়ানার। এই করে দিল্লি-মহারাষ্ট্রে হারিয়েছে। ওরা খেলাটা ধরতে পারেনি। আমরা ধরে ফেলেছি। ভোটার তালিকায় গুজরাট-হরিয়ানা  ভর্তি।
  • এখানে অনেক এজেন্সি পাঠায়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস নামে একটি কোম্পানি আছে কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। দুটো- যতদূর আমি খবর জোগার করতে পেরেছি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং কিছু বিএলআরকে নিয়ে কাজ করেছে। 
  • ভোটের আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। নাহলে এই নির্বাচনে যাওয়ার দরকার নেই।
  • পিকের আইপ্যাক এটা নয়। ওরা অন্য জায়গায় কাজ করে। ওঁ একটা রাজনৈতিক দলও করেছে। কাজটা সবাইকে একসঙ্গে করতে হবে। এদের নামে উলটোপালটা বলা বন্ধ করু। 
  • ছট পুজোয় ২ দিন ছুটি দিই, দিল্লিতে কদিন ছুটি দেন?
  • বাংলার সংস্কৃতি বিপন্ন। তফসিলি জাতির ভোট নিয়ে যায়, আর তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে থেকে বিআর আম্বেদকরের ছবি সরিয়ে দেন। হিন্দুধর্মের অপমান করছে। ভোটের সময় মতুয়া আর ভোট মিটে গেলেই ফতুয়া! আমরা সর্বধর্ম ভালোবাসি। কোনটা করি না? বিজেপি
  • যারা ভালো কাজ করছেন, তাদের পদোন্নতি করব। কিন্তু যারা কাজ করেন না, শুধু বিবৃতি দেন, দলের সমালোচনা করেন, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন না, তাদের আমি ভালোবাসি না।
  • বিজেপি আর ২-৩ বছর যা করার করবে। বাংলাকে ওরা টার্গেট করেছে কারণ ওদের বিরুদ্ধে বাংলা লড়ে। অন্যরা লড়তে পারে না। বাংলা সর্ব ধর্মে বিশ্বাস করে। 
  • মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসিয়েছে। সবটাই বিজেপির লোক বসিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রের এমন দুরবস্থা আগে দেখিনি।  
  • তৃণমূল নেতাদের ফোন ট্যাপ করে। 
  • আর জি করে  কোনও সমাধান করতে পারেনি সিবিআই। খালি বড় বড় কথা বলে। 
  • আমরা মানুষের পাহারাদার। কিন্তু দিনে কী করছি, রাতে কী করছি, মানুষ তা দেখে। বুঝতে হবে মানুষও আমাদের পাহারাদার।
  • ভোট এগিয়ে এলেই এজেন্সির তৎপরতা বাড়ে।  ভোট এলে মনে হয়, তৃণমূলের কাকে কাজে চার্জশিট দিতে হয়। ভোট এলে মনে পড়ে কাকে কাকে জেলে ঢোকাতে হবে। 
  • ২০২৪ সালে বাংলার মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। জোর করে ৫টি আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাহলে ৩৪টি আসন পেতাম। 
  • মাত্র ২ দিনের নোটিসে বিশেষ অধিবেশন। তাও আপনারা এসেছেন ধন্য়বাদ।
  • চব্বিশের পর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গিয়েছে, উৎসব গিয়েছে, তাই কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারিনি।
  • সকলকে জায়গা দিতে পারিনি। 
  • তৃণমূলস্তরে কাজ করেছি। মাটিকে চিনি।
  • আমিও একজন কর্মী।

 

বেলা ১২.২৭: বক্তব্য রাখছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দি রায়। 

বেলা ১২.২৩: এবার মঞ্চে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ। তাঁর কথায়, "কোনও দল কর্মী ছাড় চলতে পারে না। কর্মীদের প্রণাম। আমি ঠিক করে নিয়েছি, জিনা ইহা, মরনা ইহা, ইসকা সিবা কহি নেহি জানা।" বিজেপির সাংসদ হওয়ার পরই কীর্তি আজাদকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা, জানালেন সাংসদ। "তৃণমূলে এসে সম্মান পেয়েছি, প্রয়োজনে মাথা কেটেও দিয়ে দেব দিদির হাতে।" বললেন আজাদ।

বেলা ১২.২১: বক্তব্য রাখছেন রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তাঁর কথায়, "দলের তৃণমূলস্তরের কর্মীদের হয়ে সংসদে লড়াই করছি।"

বেলা ১২.১৮: মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। জানালেন, দল যেমন বলবেন সেই দায়িত্ব সামলাতে প্রস্তুত। 

বেলা ১২.১৪: অভিষেকের কথায়, "খবরে দেখাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি আমার নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়, কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। ওদের এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। আমি কথা পালটাই না। আগেও বলেছিলাম, কেউ কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে, ফাঁসির মঞ্চে চলে যাব।"

বেলা ১২.১০: ২১৫-এর বেশি আসন নিয়ে ছাব্বিশের ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টার্টেট বেঁধে দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "২০১৪ থেকে একটা হলেও আসন বাড়াতে হবে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে এক ছটাক জমিও ছাড়ব না। একাই লড়াই করব।"

বেলা ১২.০৭: বিজেপিকে এজেন্সি খোঁচা অভিষেকের। বললেন, "বিজেপির কাছে সিবিআই-ইডি-ইনকাম ট্যাক্স-সংবাদ মাধ্যমের একাংশ আছে। কিন্তু বুক দিয়ে আগলে রাখার মতো একজনও কর্মী তৈরি করতে পারেনি ওরা।"

বেলা ১২.০৫: দলের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলারক্ষার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কেউ দলের শৃঙ্খলার বাইরে যাবেন না। অনেকে সংবাদমাধ্যমে টিঁকে থাকবেন বলে অনেক কথা বলছেন। এটা করবেন না। আমার কত ক্ষমতা, তা দেখাতে গিয়ে আপনারা দলকে ছোট করছেন। দলের সঙ্গে যাঁরা বেইমানি করেছিল, যেমন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, ওদের আমি চিহ্নিত করেছিলাম। ভবিষ্যতেও বেইমানদের ল্যাজেগোবরে করার দায়িত্ব আমি নিলাম।’

বেলা ১২.০৩: অভিষেকের বক্তব্যে উঠে এল সন্দেশখালি ইস্যু। বললেন, "আজ থেকে ঠিক একবছর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলায় কী পরিস্থিতি ছিল। কীভাবে বসিরহাটের একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাকে কলুষিত করার চক্রান্তক বিরোধীরা করেছিল। মানুষ তাঁর যোগ্য জবাব দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে ২২ টি আসন পেয়েছি। বিজেপির ১৮ টা আসন ছিল। কুৎসার কারণে ১২ টা আসনে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালে নির্বাচন লড়ার সময় বলেছিলাম, আমরা মানুষের পাশে আছি।"

বেলা ১২.০১: অভিষেকের ভাষণের শুরুতেই হট্টগোলের কর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে দলনেত্রীর ধমক, "শান্ত থাকুন। ডিসিপ্লিন মেইনটেন করুন।"

বেলা ১২.০০: বক্তব্য শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে কৃতজ্ঞতা, প্রণাম, অভিনন্দন জানিয়ে ভাষণ শুরু। 

সকাল ১১.৫৭: বক্তব্য রাখছেন সুব্রত বক্সি। তুলে ধরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস। ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র জন্য প্রথম আন্দোলন করেন মমতা। দাবি সুব্রতর। 

সকাল ১১.৫১: নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সকাল ১১.৪৫: মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সভাপতি সুব্রত বক্সি। 

সকাল ১১.৪১: ইন্ডোরের স্টেডিয়ামে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কে কোথায় বসবেন, নাম লিখে নির্দিষ্ট করা হয়েছে চেয়ার। 

সকাল ১১.৩৫: ভিড়ের চাপে দরজার কাঁচ ভেঙে হাত কাটল ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্রর। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।

সকাল ১১:৩০ আগামী একবছর এবং তার পরেও একজোট থাকব, সভায় যোগ দেওয়ার আগে বার্তা ব্রাত্য বসুর।

সকাল ১১.১৫: হাজির বীরভূমের 'বাঘ' অনুব্রত মণ্ডল। 

সকাল ১১.০৬: এলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "দিদি কী বার্তা দেন, সেটাই শুনব। আমরা একজোট হয়ে আছি, একজোট হয়ে থাকব। এটাই বড় কথা।"

সকাল ১১.০০: কিছুদিন আগেই রেশন দুর্নীতি মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিনের সমাবেশে স্বমেজাজে হাজির তিনি। বললেন, "রাজনীতি নেশা, ছেড়ে থাকতে পারি?"

সকাল ১০.৫০: একই সুর দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের মুখেও। তিনিও বলছেন, "দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা শুনতে আমরা এসেছি। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দলের সংগঠন কোন পথে এগোবে, নেত্রী সেই বার্তা দেবেন। নির্বাচনে দলের সুর আজই বেঁধে দেবেন নেত্রী। সেই কথা শুনতেই আজ আসা।’’

সকাল ১০.৩৬: ছাব্বিশের আগে কী বার্তা দেবেন মমতা, তার অপেক্ষায় দলীয় নেতা-কর্মীরা। বলছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সুপ্রিমো। ওঁরই দল। চারিদিকে মমতারই ছবি। আমাদের বুক কাটলেও মমতার ছবি।"

সকাল ১০.৩০: ইন্ডোরে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন সকাল থেকেই। দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীদের জন্য আলাদা-আলাদা কাউন্টার করা হয়েছে। 

সকাল ১০.০০: বুধবার রাতের মধ্যেই নেতাজি ইন্ডোর চত্বর কার্যত আমন্ত্রিত দলীয় নেতা-কর্মীদের দখলে চলে গিয়েছে। উৎসাহী কর্মীদের ভিড়ও স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। ইন্ডোরে মমতার বক্তব‌্য শোনার জন‌্য পাশের ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব‌্যবস্থা হয়েছে। বুথস্তরে আরও বড় আকারে মমতার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের জন‌্য রাজ‌্যজুড়ে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement