ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: নাকের ভিতরে জন্ম নেওয়া টিউমার (Tumor) ক্রমেই বাড়ছিল। ক্রমশ খুলির দখল নিতে এগিয়ে চলেছিল সেটি। ফলে যত সময় যাচ্ছিল ততই সমস্যা ভয়ানক আকার ধারণ করছিল। এই পরিস্থিতিতে আগরতলায় সরকারি হাসপাতাল কার্যত হাত তুলে দেয়। খুব যে সহজ নয় ওই অস্ত্রোপচার। তার ওপর ঝুঁকিও বিস্তর। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার (Tripura) বেলোনিয়ার বাসিন্দা সৌরভ ভট্টাচার্যের বিপন্মুক্তি হল কলকাতায়। বৃহস্পতিবারই বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে সে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, সৌরভের নাক দিয়ে মাঝে মধ্যে রক্তপাত হত। সঙ্গে অসহনীয় যন্ত্রণা। প্রায় দিনই রক্ত পড়ত। একদিকে নাকের সমস্যা, সঙ্গে রক্তাল্পতা। ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছিল কিশোর সৌরভ। এই অবস্থায় বাবা বাসুদেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে আগরতলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে যায় সে। সেখানে কয়েক ইউনিট রক্ত দিয়ে তার রক্তাল্পতার সমস্যা খানিকটা কমানো সম্ভব হয়।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের রান্নাঘরে যৌন মিলন করেছিলাম’, নুসরতের শোয়ে গোপন কথা ফাঁস ঋতাভরীর]
কিন্তু সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় অনেকটা ‘এল’ আকৃতির প্রায় দশ সেন্টিমিটার লম্বা একটি টিউমার রয়েছে নাকের ভিতরে। এবং সেটি ক্রমশ খুলির দিকে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় এই ধরনের অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় আগরতলার সরকারি হাসপাতাল। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়ে যায় সৌরভ ও তার পরিবারের সদস্যদের।
এরপরই কলকাতায় আসার সিদ্ধান্ত। বাবার সঙ্গে সৌরভ চলে আসে মেডিক্যাল কলেজে। সেখানকার নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রামানুজ সিংহ, প্রশান্ত গুড়ে এবং মৈনাক দত্তের দল এন্ডোস্কপি করে টিউমারটি বের করে আনেন। ডা. রামানুজ সিংহের কথায়, ”যথেষ্ট ঝুঁকি ছিল অস্ত্রোপচারে। চোখ সহ মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা জীবনদায়ী তরল পদার্থ যাতে নষ্ট না হয় সে দিকে সতর্ক থাকতে হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বাড়ি ফিরে যাচ্ছে সৌরভ।”