অর্ণব আইচ: সন্দেহই হবে না, এমন সব ব্যবহারকারীদের বেছে তাঁদের নামে সিমকার্ড সক্রিয় করে দেওয়ার মতো কূট কাজ! সাইবার অপরাধ ঢাকতে নিরীহ ইউজারদের এভাবে ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগে কলকাতা পুলিশের সাইবার দমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার ২। একের পর এক অভিযান চালিয়ে এই জাল সিমকার্ড চক্রের দুজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাদের নাম শুভেন্দু গায়েন ও জিতেন্দ্র আগরওয়াল। তিলজলার এক ঠিকানায় শুভেন্দুর গ্রেপ্তারির পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিমকার্ড, কোনওটা সক্রিয় আবার কোনওটা একেবারেই নতুন। উদ্ধার হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, মোবাইল ফোন এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকা নগদ। আজ তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
ধৃত শুভেন্দু গায়েন ও জিতেন্দ্র আগরওয়াল।
জাল সিমকার্ড সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল। মূল অভিযোগ ছিল, জাল সিমের মাধ্যমে লাগাতার POS অপারেট করা হচ্ছে। তার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তিলজলা থানা এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, শুভেন্দু গায়েন নামে বছর তিরিশের সেই যুবক এমন ইউজারদের নামে জাল সিম ইস্যু করে, যাদের কোনও সন্দেহই হবে না। এভাবেই সে সাইবার অপরাধীদের সাহায্য করে মোটা টাকার বিনিময়ে। তিলজলার কুষ্টিয়া রোডে তার দোকানের নাম 'অঙ্কিতা কমিউনিকেশন'। শুভেন্দুর বাড়ি পিকনিক গার্ডেনে।
শুভেন্দু গায়েনের সূত্র ধরে সোমবার বিধান সরণি এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে আগরওয়াল কমিউনিকেশনের অফিস থেকে বছর তেতাল্লিশের জিতেন্দ্র আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুভেন্দুর মতো জিতেন্দ্রও জাল সিমকার্ডের রমরমা ব্যবসা চালাত। তার দোকান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫২ টি সিমকার্ড, একটি মোবাইল, দুটি স্ক্যানার ও নগদ সাড়ে ৪৩ হাজার টাকা। এসব সহ আজ তাকেও আদালতে পেশ করা হবে। এদের জেরা করে জাল সিমকার্ড চক্র সম্পর্কে আরও বড়সড় কোনও খবর মিলতে পারে বলে আশা তদন্তকারীদের। তাই তাদের নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ।
