দীপালি সেন: প্রকাশিত হল উচ্চপ্রাথমিকের (Upper Primary) পূর্ণাঙ্গ মেধাতালিকা। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বুধবার সন্ধেয় উচ্চ প্রাথমিকের করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে চাকরিপ্রার্থীদের।
উচ্চপ্রাথমিক স্তরের সহকারী শিক্ষকের মোট ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য প্রকাশিত প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন মোট ১৩ হাজার ৩৩৯ জন প্রার্থী। প্রত্যেকে প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে কোন স্থানে রয়েছেন, নাম, রোল নম্বর, ক্যাটাগরির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক স্কোর, টেট ওয়েটেজ ও ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর ও মোট নম্বর দেওয়া রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ছাত্রমৃত্যুর বিচার হোক’, যাদবপুর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে সরব জেলবন্দি মানিক]
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের তরফে সুশান্ত ঘোষ বলেন, “মেধাতালিকা প্রকাশে দীর্ঘ ৯ বছর ৭ মাস ধরে থমকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া গতি পেল। অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীরা যেন স্কুলে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করার আবেদন জানাব।” ৩০ আগস্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। হাই কোর্ট অনুমতি দিলে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)।
[আরও পড়ুন: ‘ছাত্রমৃত্যুর বিচার হোক’, যাদবপুর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে সরব জেলবন্দি মানিক]
প্রসঙ্গত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৪ সাল থেকে। প্রায় ৯ বছর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে আটকে ছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একাধিকবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করেছেন। শহরের রাজপথে মিছিল থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) কাছেও গিয়েছেন নিয়োগের দাবি নিয়ে। মেধাতালিকা প্রকাশ পেলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে হাই কোর্টের ছাড়পত্র প্রয়োজন।