গৌতম ব্রহ্ম: জাতীয় মেলার স্বীকৃতি ইস্যুতে গঙ্গাসাগর বনাম কুম্ভমেলায় অদৃশ্য দ্বৈরথ চলছে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার প্রতিটি প্রস্তুতি দেখে এসেছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে কুম্ভমেলাকে কোটি-কোটি টাকা দেওয়া ও গঙ্গাসাগরকে এক পয়সাও না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন একাধিকবার। এই পরিস্থিতিতে মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়।
উত্তরপ্রদেশের স্পিকার সতীশ মহানা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁকে। যদিও বিমানবাবু জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তিনি কুম্ভমেলায় যেতে পারবেন না। তবে কুম্ভমেলায় যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্যে শুভকামনা জানিয়েছেন। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় শাহী স্নান। তার আগে বিমানবাবুর কাছে উত্তরপ্রদেশের স্পিকার সতীশ মহানার তরফে আমন্ত্রণ আসে। তিনি টেলিফোন মারফত অধ্যক্ষকে আমন্ত্রণ জানান।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের অধ্যক্ষের তরফ থেকেও উত্তরপ্রদেশের স্পিকারকে গঙ্গাসাগর মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কুম্ভের বিশাল কর্মকাণ্ডের মাঝে তাঁর পক্ষে গঙ্গাসাগরে আসা অসম্ভব। তাই আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশের স্পিকার যাতে আসেন সেই আমন্ত্রণও আগেভাগে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। এই আমন্ত্রণকে কেন্দ্র দুই রাজ্যে স্পিকারের মধ্যে সৌজন্যের সম্পর্ক তৈরি হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।