গৌতম ব্রহ্ম: গণতান্ত্রিক দেশে বিচারব্যবস্থাই (Judiciary System) একমাত্র জনগণের হারিয়ে ফেলা আস্থা ফেরাতে পারে। তাই বিচারবিভাগ এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুর্বল হলে গণতন্ত্রের বাকি স্তম্ভগুলিই দুর্বল হতে থাকে। মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হোক, পরিবেশিত হোক সত্যি খবর। তা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হলেও, প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক। বৃহস্পতিবার নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের একাংশ কলকাতা হাই কোর্টকে কাজের জন্য হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এভাবেই বিচারব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কোনও কারণেই যাতে এই ব্যবস্থা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজর রেখেই হাই কোর্টের জন্য এই হস্তান্তরের পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের, জানালেন তাও। এদিন নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের ব্লক বি তুলে দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের (Calcutta HC)কাজের জন্য। অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
সম্প্রতি বিচারব্যবস্থায় রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠেছে কোনও কোনও মহলে। যা একেবারেই কাম্য নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নব মহাকরণের একাংশ আদালতের জন্য হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গণতন্ত্রের ভিত শক্ত রাখতে বিচারব্যবস্থার গুরুত্ব বোঝালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”গণতন্ত্রে খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ বিচারব্যবস্থা। তা মানুষের আস্থা ফেরায়। সুবিচার পেতে সকলে দ্বারস্থ হন কোর্টের। মামলাও ক্রমশই বাড়ছে। বিচারপতিদের কাজ করার জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে, তা দেখতে ভাল লাগে না।” তা ভেবেই নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে (New Secretariate Building) ১৯ টি সরকারি দপ্তর স্থানান্তরিত করে ব্লক বি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের কাজের জন্য।
[আরও পড়ুন: আসানসোল জেলে ঠাঁই অনুব্রতর, কেমন কাটল প্রথম রাত?]
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, তা হল মিডিয়া ট্রায়াল। তিনি বললেন, ”বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ হয়। একপাক্ষিক নয় তা।” এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ”মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন। সত্যি খবর দেখান। আমার বিরুদ্ধে খবর হলেও দেখান, কিছু মনে করব না। কিন্তু সম্মানহানি করবেন না।” বিচারপতিদের তিনি অনুরোধ জানান, অনেক মামলা বকেয়া রয়েছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তি করুন। আরও বেশি করে মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করা হোক। আমাদের রাজ্যে খুব কমই মহিলা বিচারপতি। আমরা আরও দেখতে চাই।”