বিধান নস্কর, বিধাননগর: নিউটাউনে সোমবার 'দুর্গা অঙ্গন'-এর শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে অ্যাকশন এরিয়া-১-এ প্রায় ১৭ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে এই 'দুর্গা অঙ্গন'। দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণকারী হিডকোই এবার 'দুর্গা অঙ্গন' নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে। আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬২ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। গত ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জগন্নাথধামের মতো 'দুর্গা অঙ্গন' তৈরি হবে, যাতে মানুষ সারা বছর সেখানে আসতে পারেন। সেই মতো নিউটাউনে জায়গা বেছে নেওয়া হয়।
নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে অ্যাকশন এরিয়া-১-এ প্রায় ১৭ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে 'দুর্গা অঙ্গন'
নবান্ন সূত্রে খবর, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অভিনব গবেষণাকেন্দ্র হিসাবেই গড়ে উঠতে চলেছে 'দুর্গা অঙ্গন'। যা গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই একটি ট্রাস্টও তৈরি করে দিয়েছেন। এই ট্রাস্টই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। 'দুর্গা অঙ্গনে' থাকবে একটি সংগ্রহশালা। সেখানে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত থাকা উৎকর্ষের সেরা কিছু শিল্পও সেখানে রাখার পরিকল্পনা হয়েছে।
'দুর্গা অঙ্গনে'র প্রস্তুতি তুঙ্গে
প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, ভবিষ্যতে 'দুর্গা অঙ্গন' রাজ্যের অন্যতম বড় পর্যটন ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। সেই অনুযায়ীই পরিকাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, বরং বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি স্থায়ী কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠবে এই 'দুর্গা অঙ্গন'। মুখ্যমন্ত্রীর 'দুর্গা অঙ্গনে'র শিলান্যাস কর্মসূচি ঘিরে রবিবার নিউটাউন জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। 'দুর্গা অঙ্গন' চত্বর ঘুরে দেখা গেল, মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। স্থানীয় প্রশাসনিক মহলের দাবি, মূল মঞ্চের সামনে ছাউনির নিচে প্রায় ৫ হাজার দর্শকের বসার জায়গা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্টরাও রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়।
