সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা। রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রশংসাও করলেন তিনি। বিতর্কে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে পালটা খোঁচা তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
শনিবার ভবানীপুরে একটি অনুষ্ঠানে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রামমন্দির উদ্বোধনের প্রসঙ্গে মোদির ঢালাও প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, “শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বলে মহাভরতে অর্জুনের রথ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। একইরকম ভাবে নরেন্দ্র মোদি আছেন বলে ভারতবর্ষের মতো রথও অক্ষত রয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, শিশুদের মুখে মুখেও ভারতের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা মুখে মুখে ফিরছে। ভগবত গীতায় পড়েছি, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের দিব্যীয় রথ থেকে নেমে মাটিতে পা রাখামাত্রই, রথটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাতে আশ্চর্য হয়ে যান অর্জুন। কী হল বুঝতে না পেরে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন। তাতে হেসে কৃষ্ণ জানান, তিনি ওই রথে বসেছিলেন বলেই সেটি এতক্ষণ পোড়েনি। আজ ভারত নামক যে রথ রয়েছে, তাতে সওয়ার রয়েছেন নরেন্দ্র-কৃষ্ণ। তিনি আছেন বলেই ভারত খান খান হয়ে যায়নি।”
[আরও পড়ুন: কাপড়ে বাঁধা হাত-পা-মুখ! ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে মিলল শিশুর দেহ]
রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মনীষীদের সঙ্গে তুলনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও একাধিক নেতা-মন্ত্রীর মুখে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। সেই একই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন রাজ্যপাল। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে জোরাল আক্রমণ করেন। কুণালের কথায়, “নিজের চেয়ারটা অক্ষত রাখার জন্য রাজ্যপাল অকারণ তেলবাজি করছেন। নিজের কাজটা নিজে করুন। ওনাকে যে বিজেপি পাঠিয়েছে, সেটা সবাই জানে।” রাজ্যপাল বোসের মন্তব্যের নিন্দায় সরব সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ওঁর প্রশংসা কখন, কেমন হয়, ঠিক থাকে না। এসে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন কেউ বুঝিয়েছেন, একা মমতার প্রশংসা করলে হবে না। পদ ঠিক রাখতে হলে মোদি এবং দিদি, দুজনেরই প্রশংসা করতে হবে।”
তবে বিতর্কের মাঝেও রাজ্য বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের পাশে। মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তরুণ প্রজন্মের চোখে দেখা নতুন ভারতের নেতা নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল তুলনা করতেই পারেন। এতে সমালোচনার কী আছে? মুখ্যমন্ত্রী ওঁর হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। তিনি এখন সব শিখেছেন, তৃণমূল, সিপিএম, সকলকে চিনেছেন। এটা কোনও অসাংবিধানিক বিষয় নয়।”
